কোভিড সময়েই বেড়েছে মহিলাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন, বলছে রিপোর্ট

ভুক্তভোগীরা পালানো বা সাহায্য চাওয়া কঠিন মনে করেছিল।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
1710953529127harras

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: মহামারীতে দেশীয় সহিংসতার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা তাদের গল্প শেয়ার করে এই জরুরি বিষয়টির আলোকপাত করে। লকডাউন এবং বিচ্ছিন্নতার কারণে অনেকেই বর্ধিত নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সহায়তা ব্যবস্থা কমজোর হয়ে পড়েছিল, যার ফলে ভুক্তভোগীরা সাহায্য চাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল।

লকডাউনের প্রভাব

লকডাউনের ফলে অনেকেই তাদের নির্যাতনকারীদের সাথে আটকা পড়েছিল। এর ফলে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভুক্তভোগীরা পালানো বা সাহায্য চাওয়া কঠিন মনে করেছিল। বাড়িতে গোপনীয়তার অভাব আরও জটিলতা তৈরি করেছিল। অনেক বেঁচে থাকা ব্যক্তি নিজেদের আটকা পড়ে বোধ করেছিল, নিরাপদ জায়গা খুঁজে পায়নি।

মহামারীর সময় সহায়তা সেবা সংগ্রাম করেছিল। হেল্পলাইনগুলিতে কলের বোঝা ছিল। সামাজিক দূরত্বের নিয়মের কারণে আশ্রয়কেন্দ্রগুলি ক্ষমতার সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। এর ফলে অনেক ভুক্তভোগী তাৎক্ষণিক সহায়তা পায়নি। ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে আরও সম্পদের প্রয়োজন স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল।

rape .jpg

বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা মহামারীর সময় তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বর্ণনা করেন। একজন মহিলা শেয়ার করেছেন যে তার সঙ্গীর আচরণ চাপের কারণে আরও খারাপ হয়ে গেছে। অন্যজন ভাইরাস এবং সহিংসতার কারণে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার ভয়ে কথা বলেছেন। এই গল্পগুলি আরও ভালো সহায়তার জরুরি প্রয়োজনকে হাইলাইট করে।

সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা

কর্তৃপক্ষ সহায়তা ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য কাজ করছে। নতুন উদ্যোগ ভুক্তভোগীদের জন্য আরও সম্পদ সরবরাহের লক্ষ্য নির্ধারণ করে। দেশীয় সহিংসতার লক্ষণ এবং সমাধান সম্পর্কে জনগণকে শিক্ষিত করার জন্য সচেতনতামূলক অভিযান চালু করা হচ্ছে।

মহামারী দেশীয় সহিংসতার কার্যকরভাবে সমাধানের গুরুত্বকে আবারও তুলে ধরেছে। বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা তাদের গল্প শেয়ার করার সাথে সাথে সমাজকে শুনতে হবে এবং সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।

rape.jpg