বন্যা নিয়েও রাজনৈতিক তরজা! ভুটান, চিনের প্রসঙ্গ টানলেন মুখ্যমন্ত্রী

সুপ্রিম কোর্টের কাছে আইটিও, রাজঘাট, মথুরা রোড সহ অনেক এলাকায় জল জমে রয়েছে এখনও। দিল্লিতে ভারতীয় নৌবাহিনীর ডুবুরিদের একটি দল আইটিও-তে যমুনা ব্যারেজের গেট খোলার জন্য অভিযান শুরু করেছে।

author-image
SWETA MITRA
New Update
floodd.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দেশজুড়ে হওয়া বন্যা (Flood Situation) পরিস্থিতি সম্পর্কে বড় মন্তব্য করলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। বিশেষ করে তাঁর নিশানায় রইলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। অসমের মুখ্যমন্ত্রী এক টুইট বার্তায় লেখেন, "প্রতি বছর আমরা ভুটান, অরুণাচল এমনকি চীন থেকেও জল পাই। প্রতিবছর আমরা সাহসী হৃদয় দিয়ে বন্যার মুখোমুখি হই। ভাবা যায় না এমন এমন পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটান সাধারণ মানুষেরা। তাঁদের যন্ত্রণা, দুর্দশা আমরা অনুভব করতে পারি, তাও আমরা  অন্যকে দোষ দিই না। কারণ আমরা জানি প্রকৃতি ভূগোলকে চিনতে পারে না।" 

 

দিল্লির বন্যা পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ।  দিল্লিতে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। বন্যার সঙ্গে রীতিমতো যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে সরকার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। জায়গায় জমে গিয়েছে জল। ব্যাপক ট্র্যাফিক জ্যামের সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনার সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার দিল্লিতে মাত্র ৩ ঘন্টায় প্রায় ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টি হয়েছে। একই সময়ে দিল্লির দ্বারকা এলাকায় জলে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই শিশুরা একটি নির্মাণাধীন গল্ফ কোর্সের দেওয়াল অতিক্রম করে সেখানে নির্মিত গর্তের ভিতরে চলে যায়।

 

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আইটিও, রাজঘাট, মথুরা রোড সহ অনেক এলাকায় জল জমে রয়েছে এখনও। দিল্লিতে ভারতীয় নৌবাহিনীর ডুবুরিদের একটি দল আইটিও-তে যমুনা ব্যারেজের গেট খোলার জন্য অভিযান শুরু করেছে। দিল্লির পূর্তমন্ত্রী আতিশি পুরানা লোহা ব্রিজের ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেন। লোহা পুল এলাকায় একটি বড় সাপও দেখা গেছে, যা যমুনার ক্রমাগত উত্থান এবং তার বাসস্থান ডুবে যাওয়ার কারণে নিরাপদ স্থানে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল। দিল্লির পাশাপাশি নয়ডার অনেক জায়গায় এখনও বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত দিল্লিতে যমুনার জলের স্তর ২০৫.৯৫ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে। আজ বিকেলে যমুনার জলস্তর বিপদসীমার ২০৫.৩৩ মিটারের নীচে যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। একই সঙ্গে গত রাতে ভৈরব টেম্পল রোডের কাছে একটি ড্রেন ভেঙে যাওয়ায় পাশের জনতা ক্যাম্প প্লাবিত হয়। এখানে ১০০টিরও বেশি বস্তি রয়েছে। জনতা শিবিরে বর্তমানে হাঁটু পর্যন্ত জল জমে রয়েছে।

 

এদিকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। হরিয়ানার মনোহর লাল খট্টরের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে দিল্লির বন্যা সৃষ্টির অভিযোগ এনেছে আম আদমি পার্টি।