নিজস্ব সংবাদদাতা: দুজনেই ছিলেন ভালো বন্ধু। দুর্গা পূজো থেকে কালীপুজো একসাথেই কাটাতেন তারা। সম্পর্কে মামা ভাগ্নে হলেও তাদের মধ্যে ছিল খুনসুটি ভাব ভালবাসার বন্ধন। তাই দুজনের শেষ পরিণতি যে একসাথেই হবে তা বোধহয় নিয়তিতেই ছিল।
বাড়িতে ঘটা করে হয়েছিল লক্ষ্মীপূজো। সেই লক্ষ্মী পূজা উপলক্ষে বাড়ি জুড়ে লাগানো হয়েছিল টুনি বাল্ব। আলোয় ঝলমল করে উঠেছিল গোটা বাড়ি। কিন্তু সেই বাড়িতে আলো যে কয়েকদিনেই অন্ধকার হয়ে যাবে তা ভাবতেই পারেননি কেউ। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল মামা ভাগ্নের। টুনি বাল্বের তার কাটতে গিয়ে ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বাড়িতে লক্ষ্মীপূজোকে কেন্দ্র করে লাগানো হয়েছিল রকমারি আলো। সেই আলোর তার ছিঁড়তে গিয়ে বিদ্যুতের শখ লেগে একসাথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন মামা ভাগনা।
পরিবার সূত্রে খবর টুনি লাইট এবং তার খুলতে গিয়েই ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা। প্রথমে ছিটকে পড়েন মামা। এরপর তাকে বাঁচাতে গিয়ে ভাগনা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তড়িৎবাহিত লোহার দরজা অবলম্বন হিসেবে ধরতে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু আর হল না শেষ রক্ষা। তড়িঘড়ি পরিবারের সদস্যরা চিৎকার শুনে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন দুজনকেই।
এদিকে এই ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের লোকজন। মামা ভাগ্নার এই আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউ। ঝলমলে আলোর রোশনাই যে কেড়ে নেবে দুই দুইটি তাজা প্রাণ তা ভাবতেই পারছেন না পরিবারের লোকেরা।