নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ভারতের নির্বাচন কমিশন মঙ্গলবার আসামের বিধানসভা ও সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের খসড়া প্রস্তাব প্রকাশ করেছে। আসামে সর্বশেষ সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ হয়েছিল ১৯৭৬ সালে এবং বর্তমান প্রক্রিয়াটি ২০০১ সালের আদমশুমারির তথ্যের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, "আসাম রাজ্যের বিধানসভা এবং হাউস অফ পিপলসে আসন সংখ্যা যথাক্রমে ১২৬ এবং ১৪ হিসাবে বজায় রাখা হয়েছে। বিধানসভায় ১২৬টি আসনের মধ্যে ১৯টি আসন তফসিলি উপজাতিদের জন্য বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে এবং আসাম রাজ্যকে বরাদ্দ করা হাউস অফ পিপলের ১৪টি আসনের মধ্যে ২টি আসন তফসিলি উপজাতিদের জন্য বরাদ্দ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একইভাবে বিধানসভায় ০৯টি আসন তফসিলি জাতির জন্য এবং ১টি আসন তফসিলি জাতির জন্য বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।"
তফসিলি জাতির বিধানসভা আসনগুলো ৮ থেকে বেড়ে ৯ হয়েছে এবং এসটি বিধানসভা আসনগুলো ১৬ থেকে ১৯-এ বৃদ্ধি পেয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, 'প্রশাসনিক ইউনিট যেমন উন্নয়ন ব্লক, পঞ্চায়েত (বিটিএডি-তে ভিসিডিসি) এবং গ্রামাঞ্চলের গ্রাম এবং পৌর বোর্ড, শহুরে এলাকার ওয়ার্ডগুলোর উপর ভিত্তি করে খসড়া প্রস্তাবটি প্রস্তুত করা হয়েছে।'
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার, নির্বাচন কমিশনার অনুপ চন্দ্র পাণ্ডে ও অরুণ গোয়েলের সমন্বয়ে গঠিত কমিশন খসড়া প্রস্তাবের ওপর গণশুনানির জন্য ২০২৩ সালের জুলাই মাসে আবার আসাম সফর করবে।'
প্রস্তাবিত সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ২০২৩ সালের ১১ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের পরামর্শ ও আপত্তি জমা দিতে বলা হয়েছে।