নিজস্ব সংবাদদাতা: এর আগে চাঁদে পাড়ি জমিয়েছিল চন্দ্রযান ২ কিন্তু সেটা সফল হয়নি। বর্তমান ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথের প্রতিনিধিত্বে ভারত এবার চাঁদের অগম্য দক্ষিণ মেরু স্পর্শ করতে পেরেছে গতকাল সন্ধ্যায়। রেকর্ড তৈরী করে চন্দ্রযান ৩-র সফল উত্ক্ষেপণ এবং চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এই মহাকাশযানের ল্যান্ডারের সফল অবতরণ হয়েছে গতকাল। ইসরো বিজ্ঞানীদের বাহবা দিচ্ছে গোটা বিশ্ব। এই সংস্থার চেয়ারম্যান এস সোমনাথকে কুর্নিশ জানাচ্ছে সবাই। বর্তমানে ISRO চেয়ারম্যান পদে রয়েছে এস সোমনাথ। তিনি এক মহাকাশ প্রকৌশলী এবং রকেট প্রযুক্তিবিদ। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তিনি কে. সিভানের জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চেয়ারম্যান হিসেবে।
লঞ্চ ভেহিকল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং, স্ট্রাকচারাল ডিজাইন, স্ট্রাকচারাল ডাইনামিকস এবং পাইরোটেকনিক্সের ক্ষেত্রে এস সোমনাথ তাঁর কাজের জন্য বেশ সুপরিচিত। তিনি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটের জন্য GSAT-MKII (F09), রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইটের জন্য GSAT-6A, PSLV-C41 উত্ক্ষেপণ যানে কাজ করে ফেলেছেন। কেরল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকেএম কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, কুইলন থেকে স্নাতক ডিগ্রি এবং গতিবিদ্যা এবং নিয়ন্ত্রণে বিশেষত্বসহ ভারতীয় বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, ব্যাঙ্গালোর থেকে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। সোমনাথ ১৯৮৫ সালে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে যোগ দিয়েছিলেন। পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (PSLV) প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ করেন এই মানুষটি। ২০১০ সালে তিনি GSLV Mk-III লঞ্চ ভেহিকেলের প্রকল্প পরিচালক হন। তিনি নভেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত প্রপালশন, স্পেস অর্ডন্যান্সের ডেপুটি ডিরেক্টর পদে কাজ করেছেন। ২০১৫ সালের জুন মাসে তিনি তিরুবনন্তপুরমের ভ্যালিয়ামালায় লিকুইড প্রপালশন সিস্টেম সেন্টার (LPSC) এর পরিচালক হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে তিরুবনন্তপুরমে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার (VSSC) এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেন এস সোমনাথ। ২০২২ সালের ১৫ জানুয়ারিতে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সভাপতি হিসাবে নিযুক্ত করা হয় তাঁকে।
যিনি এতবড় এক গৌরব এনে দিয়েছেন দেশকে সেই এস সোমনাথ কত স্যালারি পান সেটা অনেকেই জানতে আগ্রহী। বর্তমানে ISRO চেয়ারম্যানের বেতন নিয়ে জনসমক্ষে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তবে আপাতত যা জানা যাচ্ছে সেই অনুযায়ী প্রতি মাসে নাকি তাঁর মাইনে আয় আড়াই লাখ টাকা। এই টাকাটা বেসিক পে। এর বাইরেও বিভিন্ন ভাতা পেয়ে থাকেন। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা।