নিজস্ব সংবাদদাতা : তামিল চলচ্চিত্র প্রযোজক জাফর সাদিককে শনিবার নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সাদিক বলেন, ডিএমকে মন্ত্রী উদয়নিধি স্টালিনকে তিনি ৭ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, সাদিককে ২,০০০ কোটি টাকার মাদক পাচারের মামলায় গ্রেফতার করা হয়।
জানা গিয়েছে, সাদিক তদন্তকারী আধিকারিকদের বলেছেন, তিনি উদয়নিধি স্ট্যালিনকে গত বছরের বন্যার সময় সহায়তার জন্য তহবিল হিসাবে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন এবং বাকি ২ লক্ষ টাকা পার্টির তহবিল হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর ছেলেকে এই মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। জাফর সাদিক উদয়নিধি স্টালিন যে অর্থ দিয়েছিলেন তার সঙ্গে মাদক পাচারের অর্থের কোনও যোগ রয়েছে কি না তা এনসিবি তদন্ত করছে।
এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (অপারেশন) জ্ঞানেশ্বর সিং সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তাঁরা মাদক পাচারের মামলায় অর্থ পাচারের দিকটা তদন্ত করার জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত,জাফর সাদিকের নাম সম্প্রতি এনসিবি মাদক পাচার নেটওয়ার্কের তালিকায় ওঠে। এরপরেই তাঁকে ডিএমকে থেকে বহিষ্কার করা হয়। সাদিক এনসিবিকে বলেছিলেন যে তিনি ডিএমকে-র এনআরআই শাখার চেন্নাই পশ্চিমের উপ-সংগঠক ছিলেন।
ফেব্রুয়ারিতে এনসিবি এই মামলায় দিল্লিতে অভিযান চালায়। এরপরে চলচ্চিত্র প্রযোজক আত্মগোপন করেন। এনসিবির গ্রেফতারের আগে তিনি তিরুবনন্তপুরম, মুম্বাই, পুনে, আহমেদাবাদ এবং জয়পুরে ছিলেন। পরে তাঁকে চেন্নাই থেকে গ্রেফতার করা হয়। NCB দাবি করেছে, সাদিক তাঁর অবৈধ মাদক পাচারের বিপুল পরিমাণ অর্থ চলচ্চিত্র প্রযোজনা ছাড়া একাধিক বৈধ ব্যবসায় লগ্নি করেছিলেন। জাফর সাদিক প্রযোজিত 'মাঙ্গাই' নামের একটি তামিল চলচ্চিত্রের অর্থ এসেছে মাদক পাচার থেকে বলে এনসিবি দাবি করেছে। এনসিবি জানিয়েছে সাদিক গত তিন বছরে মাদক বিভিন্ন দেশে পাঠিয়েছিলেন, যার মধ্যে প্রায় ৩,৫০০ কেজি সিউডোফেড্রিন রয়েছে।