নিজস্ব সংবাদদাতা: দীপাবলি, আলোর উৎসব, সারা ভারতজুড়ে ব্যাপক উৎসাহের সাথে পালিত হয়। তবে, এই সময়ের মধ্যে পটকা এবং অন্যান্য কার্যকলাপের কারণে দূষণের মাত্রা প্রায়শই বেড়ে যায়। এই দূষণ বৃদ্ধি বায়ুমানকে প্রভাবিত করে এবং স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। এই প্রভাবগুলি বুঝতে এবং এগুলিকে হ্রাস করার উপায় অনুসন্ধান করা একটি স্বাস্থ্যকর উদযাপনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দীপাবলির সময় দূষণের প্রভাব
দীপাবলির সময় দূষণের প্রধান কারণ হলো পটকা। এগুলি বাতাসে সালফার ডাই অক্সাইড এবং নাইট্রোজেন অক্সাইডের মতো ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ছেড়ে দেয়। এই দূষক শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধদের জন্য। উপরন্তু, পটকায় থেকে শব্দ দূষণ পশুপাখি এবং মানুষের জন্য বিরক্তিকর হতে পারে।
দীপাবলির দূষণের সাথে যুক্ত স্বাস্থ্য ঝুঁকি
দীপাবলির সময় বায়ু দূষণ বৃদ্ধি বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। হাঁপানি বা অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিরা তাদের লক্ষণ আরও খারাপ হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে চোখের জ্বালা এবং ত্বকের অ্যালার্জিও সাধারণ। এই ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করার কৌশল
দূষণ কমাতে, অনেক শহর পটকা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কম ধোঁয়া উৎপন্ন করে এমন পরিবেশবান্ধব পটকা বেছে নেওয়া আরেকটি বিকল্প। সম্প্রদায়গুলিকে নির্গমন সীমিত করার জন্য পৃথক উদযাপনের পরিবর্তে সাবধানে আয়োজিত জনসাধারণের জন্য আতশবাজি প্রদর্শন করার জন্য উৎসাহিত করা হয়।
উদযাপনের বিকল্প উপায়
দূষণে অবদান না রেখে দীপাবলি উপভোগ করার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী তেল বাতির পরিবর্তে LED লাইট ব্যবহার করে শক্তি সাশ্রয় করা যেতে পারে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা সম্প্রদায়ের সমাবেশ আয়োজন পরিবেশগত প্রভাব কমিয়ে একসাথে থাকার অনুভূতি তৈরি করতে পারে।
সরকারী উদ্যোগ
সরকার সক্রিয়ভাবে সবুজ দীপাবলি অভিযান প্রচার করছে। এই উদ্যোগগুলোর উদ্দেশ্য দূষণের ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং টেকসই অনুশীলনকে উৎসাহিত করা। জনসেবা ঘোষণা এবং শিক্ষামূলক কর্মসূচি এই প্রচেষ্টার অংশ।
পরিবেশবান্ধব অনুশীলন গ্রহণ করে, ব্যক্তিরা দীপাবলি উৎসবের সময় একটি পরিষ্কার পরিবেশে অবদান রাখতে পারে। এই পরিবর্তনগুলি গ্রহণ নিশ্চিত করে যে উৎসবটি আনন্দময় থাকে এবং একই সাথে স্বাস্থ্য এবং কল্যাণও রক্ষা করে।