নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারতের রাজধানী দিল্লি তীব্র দূষণের সমস্যার সম্মুখীন। দূষণের অর্থনৈতিক প্রভাব উল্লেখযোগ্য, যা স্বাস্থ্য উৎপাদনশীলতাকে প্রভাবিত করে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের ২০২০ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে দিল্লিতে বাতাসের দূষণের কারণে জীবনকাল ০.৭ বছর কমে যায়। এই বিপজ্জনক পরিসংখ্যান কার্যকর সমাধানের জন্য জরুরি প্রয়োজনের কথা তুলে ধরে।
দূষণজনিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, হৃদরোগ এবং অন্যান্য রোগ প্রচলিত। বর্ধিত হাসপাতালে ভর্তি এবং চিকিৎসা ব্যয়ের কারণে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা চাপের মধ্যে রয়েছে। পরিবারগুলি এই ব্যয় বহন করে, তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করে।
বায়ু দূষণ কর্মীদের উৎপাদনশীলতাকে প্রভাবিত করে। বারবার অসুস্থ হওয়ার ফলে অনুপস্থিতি এবং কম কাজের দক্ষতা দেখা দেয়। কর্মচারীরা অসুস্থতার কারণে ছুটি নেওয়া বা কম ক্ষমতার সাথে কাজ করার ফলে ব্যবসায়গুলি লোকসানের সম্মুখীন হয়। এটি অঞ্চলের সামগ্রিক অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে।
সরকার দূষণ রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এতে কঠোর নির্গমন মান এবং জনসাধারণের পরিবহন উৎসাহিত করা অন্তর্ভুক্ত। তবে প্রয়োগ এবং জনসচেতনতা তৈরিতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই সংকট কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার জন্য আরও ব্যাপক কৌশল প্রয়োজন।
নাগরিক এবং এনজিও সচেতনতা বৃদ্ধিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত। অভিযানগুলি যানবাহন নির্গমন হ্রাস এবং সবুজ অনুশীলন প্রচারের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। টেকসই পরিবর্তন এবং দূষণের মাত্রা হ্রাস করার জন্য সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশুদ্ধ বাতাস পাওয়ার পথে সকল স্টেকহোল্ডারের যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সরকারি নীতি, সম্প্রদায়ের কর্মকাণ্ড এবং ব্যক্তিগত দায়িত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দিল্লিতে ভবিষ্যতের সমৃদ্ধির জন্য দূষণের অর্থনৈতিক ব্যয় মোকাবেলা করা অত্যন্ত জরুরি।