উত্তর ভারতে প্রবল ঠাণ্ডা অব্যাহত রয়েছে। যারা হাজার হাজার টাকা খরচ করে তুষারপাত ও ঠান্ডা উদযাপন করতে কাশ্মীর বা অন্যান্য পাহাড়ি অঞ্চলে গেছেন তাদের বাদ দিয়ে, অর্ধেক ভারত আবহাওয়ায় বিপর্যস্ত। নতুন ওয়েস্টার্ন ডিস্টার্বেন্স সক্রিয় হওয়ার কারণে অনেক রাজ্যে হঠাৎ করেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। বৃষ্টি ও বজ্রঝড়ের মধ্যে অনেক শহর প্রচণ্ড ঠান্ডা অনুভব করছে। রাজ্যের অনেক এলাকায় ঘন কুয়াশা বিরাজ করছে। অনেক জায়গায় রাতের তাপমাত্রা ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। সকাল হোক বা সন্ধ্যা, ঠাণ্ডা বাতাস গলে যাচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোনো না কোনোভাবে কাজ হয়, এরপর মানুষ অলস বসে থাকতে হয়। এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) ভীতিকর সতর্কতা জারি করেছিল। কিছুক্ষণ আগে দিল্লি-এনসিআরে বৃষ্টির আকারে দেখা গিয়েছিল এর ট্রেলার।
অনেক রাজ্য থেকে বৃষ্টির খবর এসেছে, ঠাণ্ডার তীব্রতা বাড়ছে বৃষ্টির কারণে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক রাজ্যেই সতর্ক হওয়া দরকার। ঠান্ডায় শরীরের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানায়ও প্রচণ্ড ঠান্ডা। পাঞ্জাবের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 2 ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। সেখানেও কিছু এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। একইভাবে, আমরা যদি রাজস্থানের কথা বলি, জয়পুর সহ 17টি জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়। অনেক শহরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। জয়পুর, আজমিরের কিষাণগড়, পালির সোজাত, নাগৌরে সকালে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হয়েছে (সিকার), বারমেরে। এছাড়াও বৃষ্টি হয়েছে বিকানের, যোধপুর, শ্রীগঙ্গানগর, হনুমানগড়, চুরু, নাগৌর, সিকর, আলওয়ার, ঝুনঝুনু, ফতেহপুর (সিকর), বারমেরে। অনেক শহরে শিলাও পড়েছে। ওয়েস্টার্ন ডিস্টার্বেন্সের প্রভাবে সপ্তাহান্তে অনেক রাজ্যে আবহাওয়ার পরিবর্তনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
উত্তর ভারতে আবারও শীতের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। পাহাড়ে তুষারপাতের কারণে নিচের সমতল এলাকার মানুষ ঠান্ডায় কাঁপছে। বিশেষ করে সকাল ও রাতে কুয়াশার সাথে হাড় হিম করা ঠান্ডা রয়েছে। আবারও দিল্লির অনেক এলাকা ধোঁয়াশার চাদরে লুকিয়ে আছে। প্রচণ্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশার কবলে পড়েছে অনেক রাজ্য। দিল্লি-এনসিআর, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং উত্তর ভারতের অন্যান্য রাজ্যে শীত চরমে। আগামী কয়েকদিন রাজধানী দিল্লিতে নিম্ন তাপমাত্রা ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবারও বর্ষাকাল অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে শনিবার 45টি ট্রেন দেরিতে পৌঁছেছে দিল্লিতে। অনেক শহর থেকে দৃশ্যমানতা কম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।