নিজস্ব প্রতিবেদন : দিল্লির বসন্তকুঞ্জে একই ঘর থেকে উদ্ধার বাবা-মেয়েদের লাশ। দ্রুত পুলিশে খবর দেওয়া হয় এবং স্থানীয় থানা থেকে পুলিশ অফিসাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে দেখতে পান বাবা এবং তাঁর চার মেয়ে সহ পাঁচটি লাশ পড়ে রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃতদেহগুলির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে তাদের পাশে তিন প্যাকেট বিষ, গ্লাস এবং চামচ পাওয়া যায়, যা ঘটনাটির রহস্যকে আরো গভীর করে।
আত্মঘাতী ঐ বাবার নাম হীরালাল। তিনি কেন এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, তিনি প্রবল হতাশায় ভুগছিলেন। একা রোজগেরে হওয়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল তাকে, ফলে তিনি হয়তো আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। পুলিশ জানিয়েছে, "ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল এবং তা এতটাই শক্ত ছিল যে ধাক্কা মেরেও খুলতে পারছিলাম না।" পরে ফায়ার ব্রিগেডকে খবর দেওয়া হয় এবং দরজা ভেঙে তারা ভিতরে প্রবেশ করে। সেখানে দুটি ঘরে বাবার মৃতদেহ ও মেয়েদের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
হীরালাল শর্মা, যিনি ৪৬ বছর বয়সী এবং পেশায় কাঠমিস্ত্রি ছিলেন। তাঁর চারটি মেয়ে রয়েছে—নীতু, নিক্কি, নীরু এবং নীধি, যাদের বয়স ২০ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে দুজন প্রতিবন্ধী ছিল। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, হীরালালের স্ত্রী কয়েক বছর আগে ক্যানসারে মারা যান। এই পারিবারিক পরিস্থিতি সম্ভবত হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
ফ্ল্যাটের অন্যান্য বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই পরিবারকে সর্বশেষ ২৪ সেপ্টেম্বর দেখা গিয়েছিল। পুলিশের ধারণা, ওই দিন অথবা পরের দিনই আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে। এই সময়সীমা অনুযায়ী, তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য যোগাযোগের বাইরে ছিল।