নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নারী মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে উল্লেখ করেন যে দেশ নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের উপর জোর দিচ্ছে যা পরিবার ও সমাজে তাদের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে।
তিনি বলেন, 'আমি আনন্দিত যে আমাদের দেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন পরিবার ও সমাজে নারীর অবস্থানকে শক্তিশালী করে। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আমি আমার দেশবাসীর সঙ্গে যোগ দিচ্ছি পরিচিত ও অজানা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি কৃতজ্ঞ শ্রদ্ধা জানাতে, যাদের আত্মত্যাগের ফলে ভারত জাতিগোষ্ঠীতে তার ন্যায্য স্থান ফিরে পেতে সক্ষম হয়েছে।"
নারী মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কথা বলতে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, 'মাতঙ্গিনী হাজরা এবং কনকলতা বড়ুয়ার মতো মহান মহিলা মুক্তিযোদ্ধারা ভারত-মাতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।'
কনকলতা বড়ুয়া ছিলেন আসামের একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী, যিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে গোহপুর থানায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে ব্রিটিশ পুলিশ বাহিনীর গুলিতে নিহত হন।
কস্তুরবা গান্ধীর অবদান সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, "সত্যাগ্রহের কঠিন পথে প্রতিটি পদক্ষেপে মা কস্তুরবা জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সমকক্ষ ছিলেন।"
তিনি বলেন, 'সরোজিনী নাইডু, আম্মু স্বামীনাথন, রমা দেবী, অরুণা আসফ-আলি এবং সুচেতা কৃপলানির মতো অনেক মহান মহিলা নেতা সমস্ত ভবিষ্যত প্রজন্মের মহিলাদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক আদর্শ স্থাপন করেছিলেন।'
তিনি বলেন, 'আজ নারীরা দেশের উন্নয়ন ও সেবার প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখছে এবং দেশের গৌরব বৃদ্ধি করছে। আজ আমাদের মহিলারা এমন অনেক ক্ষেত্রে তাদের বিশেষ স্থান তৈরি করেছেন যেখানে কয়েক দশক আগে তাদের অংশগ্রহণ অকল্পনীয় ছিল।'
নারীর ক্ষমতায়নকে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম আদর্শ হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মুর্মু দেশবাসীকে নারীর স্বাধীনতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, "আমি চাই আমাদের বোন ও কন্যারা সাহসের সঙ্গে চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করুক এবং জীবনে এগিয়ে যাক। মহিলাদের উন্নয়ন আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম আদর্শ ছিল।"