নিজস্ব সংবাদদাতা: ‘আম্বেদকরকে অপমান’ প্রসঙ্গে উত্তপ্ত সংসদের উভয় কক্ষ। শুধু সংসদ নয়, সংসদের বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় এই নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিরোধীরা। এদিন সকাল থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, যে এই ইস্যুতে উত্তাল হবে সংসদ চত্বর। আর বেলা গড়াতেই দেখা যায় চিত্রটা একেবারে মিলে গেছে। বিরোধী সাংসদরা সংসদে মকর দ্বারের কাছে বেদিতে উঠে বিক্ষোভ দেখান। সকলে এই বলে সোচ্চার হন, বিআর আম্বেদকর সম্পর্কে তার মন্তব্যের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে পদত্যাগ করতে হবে।
পাল্টা বিজেপি সাংসদরাও ওই মকর দ্বারের সামনেই সংসদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কংগ্রেস দলের দ্বারা বিআর আম্বেদকরকে অপমান করার অভিযোগ করেন তারা৷ একটা সময় উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে উত্তেজনা চরম সীমায় পৌঁছায়। উভয়ের ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান ২ জন বিজেপি সাংসদ। বিক্ষোভের সময় আহত হন বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সারেঙ্গি এবং মুকেশ রাজপুত। তাঁদেরকে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে মুকেশ রাজপুতকে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছে। হুইলচেয়ারে বসে থাকার সময়, এদিন সারেঙ্গি অভিযোগ করেন যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী একজন সাংসদকে ধাক্কা দিয়েছিলেন। যিনি তাঁর উপর পড়ে যান। সেই ভার সামলাতে না পেরে সারেঙ্গি নীচে পড়ে যান।
এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি বলেন, “কংগ্রেস জনসাধারণকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা বাবাসাহেব আম্বেদকরের নামে ভুয়ো তথ্য ছড়াচ্ছে। আমরা এখানে সত্য বলতে এসেছি। আম্বেদকরকে কাউন্সিল থেকে কে সরিয়ে দিয়েছিল? কারা তাকে নির্বাচনে হারাতে বাধ্য করেছিল? কংগ্রেস পার্টি তাঁর জন্মস্থানে বাবাসাহেবের স্মৃতিসৌধ নির্মাণে ৪০ বছর বিলম্ব করেছে। আজ তারাই নাকি আম্বেদকরের সম্মানের লড়াই লড়ছে!”