নিজস্ব সংবাদদাতা: গুনার ঘটনায় মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব বলেছেন, "এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। আমি কালেক্টর এবং এসপির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আমি গুনা পরিদর্শন করব। আমি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছি। দুর্ঘটনাটির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের গুনায় একটি ডাম্পারের সঙ্গে সংঘর্ষের পর একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন লেগে যায়। ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনা য় ১৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে গুনা-হারুন সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গুনার জেলা কালেক্টর বলেছেন, "বর্তমানে ১৭ জন জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা বিপদমুক্ত বলে জানা গিয়েছে। একটি বাস এবং একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন।" পাশাপাশি জানিয়েছেন, মৃতদেহগুলো এত বাজেভাবে পুড়ে গিয়েছে যে শনাক্ত করা সম্ভব নয়। মৃতদের শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে সমস্ত মৃতদেহ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু হবে। গুনায় আহতদের দেখতে যাবেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশের এক প্রবীণ আধিকারিক জানিয়েছেন, বাসে মোট ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। তারমধ্যে চার জন অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তাঁদের কোনও আঘাত লাগেনি। বর্তমানে তাঁরা নিজেদের বাড়িতে চলে গিয়েছেন।
মধ্যপ্রদেশ সরকার মৃতদের পরিবার পিছু চার লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ঘটনাটিকে "বেদনাদায়ক" বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, " দুর্ঘটনার কথা জানার পরেই আমি কালেক্টর এবং এসপির সাথে কথা বলেছি এবং তাঁদের ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি।"