নিজস্ব সংবাদদাতা: শীঘ্রই মহাকাশে পাড়ি দিতে চলেছে চন্দ্রযান-৩। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরো জানিয়েছে, আগামী মাসেই চন্দ্রাভিযানে যাচ্ছে চন্দ্রযান-৩। কবে নাগাদ মহাকাশে পাড়ি দেবে এই চন্দ্রযান ? ইসরোর তরফে নির্দিষ্ট কোনও তারিখ এখনও বলা হয়নি।
ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ জানান, চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযান তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সম্প্রতি এই মহাকাশযানের পরীক্ষা শেষ করেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। আগামী মাসেই মহাকাশে পাড়ি দেবে এই চন্দ্রযান-৩। কিন্তু কবে নাগাদ? ইসরোর প্রধান জানান, আগামী ১২ থেকে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৩। পরীক্ষা সম্পূর্ণ শেষ হলে উৎক্ষেপণের তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে তৃতীয় বার চন্দ্রাভিযানে কথা ঘোষণা করল ইসরো। আগামী জুলাই মাসে ১২ থেকে ১৯ তারিখের মধ্যে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করা হবে। আর এই তৃতীয় চন্দ্রাভিযান খরচ পড়বে ৬১৫ কোটি টাকা। এই নিয়ে তৃতীয় বার চন্দ্রজান পাঠাচ্ছে ইসরো।
২০১৯ সালে চন্দ্রাভিযান সফল হয়নি। চাঁদের চারপাশে ঘুরপাক খেলেও বিক্রমকে সফল ভাবে চাঁদের মাটিতে নামানো যায়নি। বরং সেটি চাঁদের বুকে আছড়ে পড়েছিল। তাই তৃতীয় চন্দ্র অভিযানে ইসরো আরও সতর্ক হয়েছে। তারা ভালোভাবে সবকিছু দেখে তারপরেই চন্দ্রযান-৩'কে মহাকাশে পাঠাবে। চন্দ্রযান থ্রি চাঁদকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে বলে মত বিজ্ঞানীদের। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, নিরাপদে চাঁদের মাটিতে রোবট চালিত রোভারকে নামানোর সব প্রস্তুতি তারা ঠিক করে রেখেছেন। শ্রীহরিকোটা সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে GSLV Mark 3 রকেটে করেই মহাকাশে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৩।
ইসরো সুত্রে আরও জানা গিয়েছে, এবার দীর্ঘ সময় ধরে চন্দ্রযান-৩-এর উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছে যাতে আগের বারের ভুলগুলো আবার না হয়। চন্দ্রযান-৩' একটি ল্যাডার এবং রোভার থাকছে। ইসরো জানিয়েছে, চন্দ্রযান-২'তে এই দুটি জিনিস ছিল না। তবে চাঁদের চারপাশে ঘোরার জন্য চন্দ্রযান-৩-এ কোনও অরবিটার রাখা হয়নি। এর বদলে থাকছে স্পেকট্রো-পোলরিমেট্রি অফ হ্যাবিটেবল প্ল্যানেট আর্থ (SHAPE) নাম একটি পেলোড। এই পেলোড চাঁদের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীকে নিরক্ষণ করবে এবং সেই সম্পর্কে তথ্য প্রেরণ করবে।