নিজস্ব সংবাদদাতা: মনিপুর পুলিশের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অসম রাইফেলস রাজ্যে কিছু ড্রোন-বিরোধী সিস্টেম মোতায়েন করেছে। এই ড্রোনগুলো যে কোনও দুর্বৃত্ত ড্রোনকে প্রতিহত করতে পারবে। প্রান্তিক এলাকাতেও এই ড্রোনগুলো সমান কার্যকরী হবে। সিআরপিএফ একটি অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমও পরীক্ষা করেছে এবং এটি রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছে।
/anm-bengali/media/media_files/QyEExeNBvi7JKdzR6Pix.jpg)
প্রসঙ্গত, গত বছর মে মাসে মনিপুরে জাতিগত হিংসাায় ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় মনিপুরে প্রথম এই ড্রোনের ব্যবহার করা হয়। ড্রোনের ব্যবহার প্রথম দেখা যায় ১ সেপ্টেম্বর ইম্ফল পশ্চিম জেলার কাউতরুক গ্রামে। একটি হামলায় বন্দুকও ব্যবহার করা হয়, দুই ব্যক্তি নিহত এবং নয়জন আহত হয়, সেখানে ড্রোন ব্যবহার করা হয়। পরের দিন প্রায় ৩ কিমি দূরে সেনজাম চিরাং-এ ড্রোন ব্যবহার করা হয়, তিনজন আহত হয়। অন্যদিকে শনিবার, এদিকে, শনিবার রাতে জিরিবাম জেলায় একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। একটি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পাঁচ বা তার বেশি লোকের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়।
মনিপুর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জঙ্গিরা এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে তাকে ঘুমের মধ্যে গুলি করে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের পর দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় শুরু হয়, যার ফলে চারজন সশস্ত্র লোক নিহত হয়। মনিপুরে উভয় পক্ষের অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হাজার হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তরিত হতে হয়েছে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি জঙ্গিদের অতর্কিত হামলায় একজন সিআরপিএফ জওয়ানও নিহত হন।