নিজস্ব সংবাদদাতা : বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের সঙ্গে দেখা করে পরিস্থিতি পরিদর্শন করলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি জানান, ''আমাদের অগ্রাধিকার হল আটকে পড়া লোকদের উদ্ধার করা এবং বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ পুনরুদ্ধার করা। শুক্রবারের তথ্য অনুযায়ী, ১৯টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, ১০৩ জন নিখোঁজ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন ২২ জন সেনাবাহিনী কর্মকর্তারা, ৭টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। গভীর রাতে আরও কিছু দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, আমরা সংখ্যা গণনা করছি। মোট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ২২০০০ এর বেশি এবং আমরা ৩৯০০ জনকে উদ্ধার করেছি এবং তাদের উদ্ধার শিবিরে রেখেছি। সিকিমে বর্তমানে ২৬টি ত্রাণ শিবির চলছে।'' অন্যদিকে, স্কুল এবং শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকিতে থাকায় কলেজগুলি ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, বন্ধ হয়নি পশ্চিম সিকিমের স্কুলগুলি।
দুঃসময়ে সিকিমের পাশে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী জানান, "ভারত সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্য দিচ্ছে। লজিস্টিক সাপোর্ট, আর্মি, এবং তাৎক্ষণিক ত্রাণের জন্য আর্থিক সাহায্য সরকার প্রদান করছে। কেন্দ্র পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী মোদী, এবং কেন্দ্রীয় এইচএম অমিত শাহ পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে আমাকে ডেকেছেন।'' তবে, দিল্লি থেকে ডাক এলেও কথা হয়নি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এমনটাই জানিয়েছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ''পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গেও পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, কিন্তু আমার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।" যদিও সিকিমের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ট্যুইটে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।