নিজস্ব সংবাদদাতা: আজও দেশে কুসংস্কার আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে রেখেছে সাধারণ মানুষকে। ‘ব্ল্যাক ম্যাজিক’ বা ‘কালা জাদু’ আজও যে কীভাবে মানুষের মনকে কবজা করে রেখেছে তা এই ঘটনায় ফের একবার প্রমাণিত।
ঝাড়খণ্ডের পালামু জেলার বাসিন্দা গীতা দেবীকে এক তান্ত্রিক বলেছিলেন পুণ্য লাভ করতে গেলে শিশু কন্যার বলি প্রয়োজন। আর সেই জন্যেই, কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে ওই মহিলা নিজেরই দেড় বছরের শিশু কন্যার দেহকে বলি দেন। নিজের হাতে হত্যা করেন তাঁর মেয়েকে। এমনই ঘটনায় তাজ্জব ঝাড়খণ্ড সহ গোটা দেশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঐ মহিলা নিজের মুখে বলিদানের কথা স্বীকার করেছেন। অভিযুক্ত মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, যে তিনি প্রথমে বাজার থেকে পুজোর জন্য প্রয়োজনীয় চুড়ি, জামাকাপড় এবং অন্যান্য জিনিস কিনে এনেছিলেন। তারপর সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে সিকনি বারভাধোরা জঙ্গলে যান নিজের মেয়েকে নিয়ে।
সেখানে মহিলা ও তাঁর মেয়ে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় পুজোতে বসেন। তারপর পুজো করতে করতে মহিলা নৃত্য শুরু করেন। আর সেই ভাবেই ছুরি নিয়ে নিজের মেয়েকে হত্যা করেন।
এখানেই শেষ নয়, এরপরই মেয়ের দেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে তাঁর লিভার খেয়ে বাকি দেহাংশ মাটিতে পুঁতে ওই নগ্ন অবস্থাতেই বাড়ি ফেরেন ওই মহিলা। প্রতিবেশীরা তাঁর ভয়ঙ্কর রূপ দেখে তাঁর শাশুড়িকে খবর দেন। তাঁর শাশুড়ি এসেই সম্পূর্ণ বিষয়টি জানতে পারেন।
ওই মহিলার স্বামী কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন। এই ঘটনার পর এলাকায় রীতিমতো আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা সবাই ভীত-সন্ত্রস্ত। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর নির্দিষ্ট স্থান থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা নিজের মুখে সব দোষ স্বীকার করেছে। সে যে কালা জাদুর প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল, তাও জানা গিয়েছে। তবে কে বা কারা এই ধরনের ভয়ঙ্কর অসামাজিক কাজের সাথে জড়িত, তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।