নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মণিপুরের (Manipur) ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির তৈরি প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, মেইতেই সম্প্রদায়কে এসটি-তে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশের পরে রাজ্য সরকার হিংসার পূর্বাভাস দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিল।
উচ্চ পদস্থ সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে ঘটনা প্রসঙ্গে ইতিমধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। এন বীরেন সিং সরকার হিংসার ঘটনা রুখতে এবং অনুধাবন করতে একেবারে ব্যর্থ হয়েছে। মায়ানমারের সীমান্তবর্তী কুকি অধ্যুষিত চুড়াচাঁদপুর এবং মোরেহ অঞ্চলে হিংসার সম্ভাবনা সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী, প্রশাসনিক স্তরে কোনও ধারণাই ছিল না বলে অভিযোগ। মণিপুর যখন অবৈধ মাদক ব্যবসা ও সেবনের অভিযোগে জর্জরিত, মাফিয়ারাও এই পরিস্থিতিতে বড় ভূমিকা পালন করেছে। একটি অভ্যন্তরীণ বৈঠকে বিজেপি বিধায়ক এবং বেশ কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন।
"বীরেন সিংকে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে দেওয়া হলে আমাদের সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা আরও কমে যাবে। অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ করা দরকার," বলেছেন মণিপুরের একজন মন্ত্রী। এএনএম নিউজ জানতে পেরেছে, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন বীরেন সিং সরকারের মন্ত্রী টি বিশ্বজিৎ সিং এবং মণিপুরের অভ্যন্তরীণ সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর কে রঞ্জন সিং।