'রাহুল গান্ধীকে কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না?' কংগ্রেসকে প্রশ্ন নেতার

২০২৩ সালের ২৪ মার্চ রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ বাতিল করা হয়। যদিও ২৫ মার্চ রাহুল গান্ধী ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেন। গত ২৭ মার্চ বাংলো খালি করার নোটিশ পান তিনি। গত ২২ এপ্রিল বাংলো খালি করেন রাহুল গান্ধী।

author-image
SWETA MITRA
New Update
ravi rahul.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ‘মোদী পদবী’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেঁসে গিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এমনকি মুখ পুড়েছে কংগ্রেসেরও। আর এই সুযোগকে হাতছাড়া করতে নারাজ বিজেপি। আজ শুক্রবার কংগ্রেসকে বিশেষ করে রাহুল গান্ধীকে নজিরবিহীন ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা ও সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad)। এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা কংগ্রেসকে জিজ্ঞেস করতে চাই, আপনারা কেন রাহুল গান্ধীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না? কংগ্রেস নেতৃত্ব কেন তাকে সঠিকভাবে কথা বলার প্রশিক্ষণ দিতে পারছে না? তিনি আপনাদের নেতা।‘

 

বিজেপি সাংসদ আরও বলেন, ‘রাহুল গান্ধী যদি এই বিষয়ে ক্ষমা চাইতেন, তাহলে এটা শেষ হয়ে যেত... বিশিষ্ট নেতা ও সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে গালিগালাজ করা, বদনাম করা এবং প্রায় সবচেয়ে খারাপ ধরনের গালিগালাজ করা রাহুল গান্ধীর একটি দীর্ঘস্থায়ী অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।‘   

 

উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার মোদীর পদবী নিয়ে মানহানির মামলায় গুজরাট হাইকোর্ট থেকে বড় ধাক্কা খেয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। রাহুল গান্ধীর রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দিয়ে গুজরাট হাইকোর্ট বলেছে যে নিম্ন আদালতের দোষী সাব্যস্ত করার আদেশটি ন্যায়সঙ্গত, উক্ত আদেশে হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রয়োজন নেই, তাই আবেদনটি খারিজ করা হল। আদালত আরও বলেছে যে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কমপক্ষে ১০ টি ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

 

এদিন হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে, রাহুল গান্ধী কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না বা সংসদ সদস্য হিসাবে তাঁর মর্যাদা প্রত্যাহারের আবেদন করতে পারবেন না। তিনি হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারেন।

 

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ১৩ এপ্রিল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী 'মোদী পদবী' নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। গত ২৩ মার্চ সুরাটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ ও ৫০০ (ফৌজদারি মানহানি) ধারায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং ২০১৯ সালে গুজরাটের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদীর দায়ের করা মামলায় তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়।

এরপর ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ বাতিল করা হয়। যদিও ২৫ মার্চ রাহুল গান্ধী ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেন। গত ২৭ মার্চ বাংলো খালি করার নোটিশ পান তিনি। গত ২২ এপ্রিল বাংলো খালি করেন রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধী সুরাট দায়রা আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গুজরাট হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেছিলেন, কিন্তু রেহাই পাননি। এরপর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য হাইকোর্টে আপিল করা হয়।