নিজস্ব সংবাদদাতা: বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমনমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেন, "হরিয়ানায় যা পরিবেশ ছিল, মনে হয়নি এই ফলাফল হবে। বিজেপিও নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আস্থাশীল ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন যে তারা প্রয়োজনে জোট সরকার গঠন করবে। ফলাফল হতবাক কিন্তু জনগণের রায় সবকিছুর ঊর্ধ্বে।"
হরিয়ানার জয় নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন বলেন, কেন্দ্রে মোদীজিকে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আনা। কিংবা হরিয়ানা, গুজরাট, মধ্য প্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্যে বারবার বিজেপি সরকার গঠন। এটা প্রমাণ করে মানুষ রাজনীতির পারফরম্যান্সে আস্থা রাখছে। প্রসঙ্গত, এদিন ভোট গণনায় প্রথম দিকে এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। কিন্তু সময় যত এগোতে থাকে, কংগ্রেস তত পিছিয়ে যেতে থাকে। তারপর অনেকটাই এগিয়ে যায় বিজেপি। শেষপর্যন্ত হরিয়ানার ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি জেতে ৪৮টি আসন। আর কংগ্রেস পায় ৩৭টি আসন। সরকার গড়তে দরকার ৪৬টি আসন। ফলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে হরিয়ানায় ফের সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। ভোটের রেজাল্টের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজেপি কর্মীদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এটা রাজ্যের সাধারণ মানুষের জয়। এই জয় আসলে সুশাসনের। জম্মু ও কাশ্মীরে ভাল ফলের পর দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে মোদীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন মোদী। তিনি বলেন, হরিয়ানার মানুষ কংগ্রেসকে কড়া বার্তা দিয়েছেন। তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন, দেশবিরোধী রাজনীতি তাঁরা মেনে নেবেন না।