বড় খবর: সবে মাত্র পথ চলা শুরু, এরই মধ্যে কর্ণাটকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে উঠছে প্রশ্ন

সবে কর্ণাটকে সরকার গঠন করেছে কংগ্রেস। এবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য।

author-image
Aniket
New Update
Siddaramaiah

File Picture

 নিজস্ব সংবাদদাতা: চলতি বছর বিগত মাসের ১০ মে কর্ণাটকে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। ১৩ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়। নির্বাচনের পূর্বে বিজেপি কর্ণাটকে পুনরায় সরকার গড়ার ক্ষেত্রে আশাবাদী থাকলেও। কর্ণাটকের মানুষের রায়ে বিজেপি সরকারের পতন ঘটিয়ে সরকার গঠন করে কংগ্রেস। কংগ্রেসের কাছে ব্যাপক ভাবে হারতে হয় বিজেপিকে। কংগ্রেস যেখানে ১৩৫ টি আসন পেয়ে বিশাল ভাবে কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। সেখানে মাত্র ৬৬ টি আসন পেয়ে কর্ণাটকের বিরোধী দল হিসাবে শপথ নিয়েছে বিজেপি। তবে কর্ণাটকে সরকার গড়লে ধর্মের রাজনীতি ঘোচানোর ডাক নির্বাচন পূর্বেই দিয়েছিল কংগ্রেস। তবে এবার ধর্মের রাজনীতির ইস্যুতে কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকারের ওপর প্রশ্ন তুললেন বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য। বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য দাবি করেছেন, কংগ্রেস আবারও দেখিয়েছে যে তারা সংবিধানের চেতনা এবং দেশের আইনের ঊর্ধ্বে তাদের ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থকে রাখে। তিনি কর্ণাটকের বর্তমান শাসকদল কংগ্রেসের শাসন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, "কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার খুব দ্রুত এবং নিষ্ঠার সাথে পিএফআই এর এজেন্ডা পূরণ করছে। কংগ্রেস সরকার ধর্মান্তর বিরোধী আইন বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ধর্মান্তর বিরোধী আইনের উদ্দেশ্য ছিল প্রতারণামূলক এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ বন্ধ করা। এই আইনটি বাতিল করে কংগ্রেস আবারও দেখিয়েছে যে তারা সংবিধানের চেতনা এবং দেশের আইনের ঊর্ধ্বে তাদের ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থকে রাখে"। উল্লেখ্য, কর্ণাটকে কংগ্রেস ও বিজেপির দ্বন্দ্ব ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির সরকারের আমলে কোনও দুর্নীতি হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করার ক্ষেত্রে বার্তা দিয়েছে সিদ্দারামাইয়া সরকার। এছাড়াও কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক বিজেপি নেতা একাধিক মন্তব্য করেছেন। তবে বর্তমানে বিজেপি ও কংগ্রেসের লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচন। ২০২৪ সালে দেশে অনুষ্ঠিত হবে লোকসভা নির্বাচন। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি একজোট হতে শুরু করেছে। তবে বিরোধী দলগুলিকে পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপির নেতা ও মন্ত্রীরা। বিজেপির তরফে বিরোধী দলগুলির জোটকে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, "একাধিক শূন্য মিলে শূন্যই হয়"। এখন অপেক্ষার ১ বছর। পরের বছরেই জানা যাবে, ভারতবাসী বিজেপি ও বিরোধী দলগুলির মধ্যে কোন দলকে বেছে নেয়।