নিজস্ব সংবাদদাতা: ভয়ঙ্কর পচা গলা গন্ধ পেয়েই পুলিশের সন্দেহ হয়, এ কোনও ‘সাধারণ খুন’ নয়! এরপর ফ্রিজ খুলতেই সেই ভয়াবহ দৃশ্য। দিল্লির শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের ছায়াই দেখা গিয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। তবে এই খুনের তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশের হাতে এর আরেক তথ্য। মল্লেশ্বরমে তরুণী খুনে নাকি রয়েছে বাংলার যোগ? মূল অভিযুক্ত এ রাজ্যেরই বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মূল অভিযুক্ত আশরফের খোঁজে গতকালই বাংলায় এসেছে কর্ণাটক পুলিশের একটি দল। পুলিশের দাবি, বছর ২৬-এর মহালক্ষ্মী তাঁর লিভ-ইন পার্টনারের হাতেই খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন নিহতের স্বামী।
কর্ণাটক পুলিশের অনুমান, বাংলা-ওড়িশা সীমানায় লুকিয়ে রয়েছে অভিযুক্ত। বেঙ্গালুরুর মল্লেশ্বরমে থাকতেন মহালক্ষ্মী। মেয়েকে নিয়ে অন্যত্র থাকতেন তাঁর স্বামী। সম্প্রতি মহালক্ষ্মীর ফ্ল্যাটে ফ্রিজ থেকে তাঁর দেহাংশ উদ্ধার হয়। খুনের পর তরুণীর দেহ ৩০ থেকে ৩২ টুকরো করা হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি। এও জানানো হয়েছে, মোবাইলের ডেটা দিয়েই অভিযুক্তর ওপর নজরদারি করা হয়।
মহালক্ষ্মীর ফোন থেকেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তারা। যেহেতু পুলিশ আসার প্রায় এক সপ্তাহ আগে এই খুন হয়েছে, ফলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে অভিযুক্ত। তবে তাঁকে মোবাইল ট্র্যাক করেই তাঁর খোঁজ পাচ্ছে পুলিশ। আর তাতেই আশঙ্কা করা হচ্ছে ওই অভিযুক্ত আশরফ বাংলার ছেলে। তাই কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে সে বাড়ির দিকেই পালিয়েছে। আপাতত, তাঁকে ধরতে কর্ণাটক পুলিশও এসে হাজির হয়েছে এরাজ্যে। অভিযুক্তের খোঁজে চলছে তল্লাশি।