নিজস্ব সংবাদদাতা: লোকসভা নির্বাচনে নজর কাড়া কেন্দ্র ছিল বসিরহাট। সন্দেশখালি নিয়ে হাওয়া গরম করেছিল বিজেপি যদিও পড়ে সেটা বড় সেটব্যাক হয়। সেখানে বিজেপি প্রার্থী করেছিল রেখা পাত্রকে। তৃণমূল কংগ্রেসের হাজী নুরুল এর কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন রেখা। যদিও সংসদ থাকাকালীন অবস্থায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান হাজী নুরুল ইসলাম।
এদিকে বিপুল ভোটে পরাজিত হওয়ার পর নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করেন রেখা পাত্র। কলকাতা হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করা হয়। নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভোটে কার চুপি এবং মনোনয়নপত্রের ত্রুটির অভিযোগ তুলেছেন রেখা পাত্র। তার দাবি হাজী নুরুলের হলফনামায় নো ডিউজ সার্টিফিকেট ছিল না।
তাই বসিরহাট নির্বাচন বাতিল করবার দাবি জানান বিজেপির পরাজিত প্রার্থী। তার অভিযোগ জালিয়াতি করে ভোটে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতিত্ব করেছে। রেখার আইনজীবী বিল্যদল ভট্টাচার্যের দাবি, পার্টি ছাড়াই রিপোর্ট পেশ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলেও তৃণমূলের দলদাস হিসেবে কাজ করেছে। সত্য সামনে আসুক। নির্বাচন কমিশন পক্ষপাত দুষ্ট আচরণ করেছে।
এদিকে এ নিয়ে আদালতে বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের বেঞ্চে রীতিমত ভর্তসনার মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। বসিরহাট কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থীর রেখা পাত্রকে পুনরায় জয়ী ঘোষণা করা হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১৫ জানুয়ারি। মামলা কারীর আইনজীবী জানান, রিটার্নিং অফিসারের সাথে রাজ্যের যোগসাজশে ইচ্ছাকৃতভাবে এই দুর্নীতি করা হয়েছে।