নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করা হয়েছে আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। এই উৎসব ঘিরে সারা বাংলাদেশে মণ্ডপে মণ্ডপে আনন্দ উৎসব বিরাজ করছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরিস্থিতিতে নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা উদযাপনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দেয়, তৈরি হয় নিরাপত্তার শঙ্কা। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের সব মহল থেকে তাদের আশ্বস্ত করা হয়। আশ্বস্ত করা হয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সার্বিক নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে। আনসার, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও সেনাবাহিনীর চারস্থনের নিরাপত্তায় প্রত্যেক পুজা মণ্ডপে থাকবে।
কঠোর নিরাপত্তার আশ্বাসে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্বেগ-শঙ্কা কেটেছে। সনাতনীরা এখন নির্বিঘ্নে পূজা সম্পন্ন হওয়ার প্রত্যাশায় রয়েছেন।
বাংলাদেশে এ বছর ৩২ হাজার ৬৬৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হওয়ার কথা থাকলেও এবার হচ্ছে ৩১ হাজার ৪৬১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপন হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে পূজার সংখ্যা হবে ২৫৩টি।
গত বুধবার মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। শুভ মহালয়ায় দেবীর আবাহন শেষে এখন মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী বরণের প্রস্তুতি চলছে। কৈলাশ থেকে মর্ত্যলোকে আসবেন দেবী দুর্গা। মঙ্গলবার সায়ংকালে দেবীর বোধন। বুধবার দুর্গা দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ ও বিহিতপূজা হবে। পরদিন বৃহস্পতিবার দুর্গাদেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন সপ্তমাদি কল্পারম্ভ ও মহাসপ্তমী বিহিত পূজা। শুক্রবার দুর্গাদেবীর মহাঅষ্টমী কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা। শনিবার পূর্বাহ্ন ৬.১২টার মধ্যে দুর্গাদেবীর মহানবমী কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা। একই দিন পূর্বাহ্ন ৮.২৬টার মধ্যে দুর্গাদেবীর দশমী বিহিতপূজা ও পূজান্তে দর্পণ বিসর্জন। ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবের শেষ হবে। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, এ বছর দেবী দুর্গা মর্ত্যে আসছেন দোলায় চেপে, ফিরবেন ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে।