নিজস্ব সংবাদদাতা: একদিকে অশান্ত রয়েছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। তার মাঝেই এবার যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মায়ানমারে। মায়ানমারে চলছে গৃহযুদ্ধ। বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত মায়ানমারের মংডুর চলে গিয়েছে বিদ্রোহীদের হাতে। নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে বহু রোহিঙ্গা এখন অন্য দেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
আরাকান আর্মি এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে মায়ানমারকে ধ্বংস করতে। যে কোন মুহূর্তে তারা সশস্ত্র সীমাবল দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শরণার্থীদের সাথে সাথে জঙ্গিরাও বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেনাঘাঁটি দখল করে নেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশের পরবর্তী মায়ানমারের ২৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ নিয়ন্ত্রণ রেখা এখন চলে গিয়েছে আরাকান সেনাদের হাতে।
জুন মাস থেকেই আরাকান আর্মি ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে মংডুর উপর। এদিকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে বারবার বিদ্রোহ হচ্ছে মায়ানমারে। আরাকান আর্মি এবং এমএনডিএএ একসাথে জোটবদ্ধ হয়ে তৈরি করেছে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। ২০২৩ সাল থেকে, তারা বিদ্রোহী জোট হয়ে অপারেশন চালিয়ে যাচ্ছে। যার নামকরণ করা হয়েছে ‘অপারেশন ১০২৭!’
এখন গৃহযুদ্ধ থেকে দিন দিন ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে মায়ানমার! এদিকে বাংলাদেশ সীমানায় বাড়ানো হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। একদিকে অরাজক অবস্থা বাংলাদেশের অন্যদিকে মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ হচ্ছে বাংলাদেশে। স্বাভাবিক ভাবেই সাঁড়াশি চাপে রয়েছে বাংলাদেশ।