'রাম জ্যোতি', ১০ লক্ষ প্রদীপের তেজে ঝলমল করবে অযোধ্যা!

রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে অপরূপ সাজে সেজে উঠেছে অযোধ্যা।

author-image
Aniruddha Chakraborty
New Update
jbn

file pic

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জানা গিয়েছে, আগামী ২২ জানুয়ারি অর্থাৎ সোমবার অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অভিষেক অনুষ্ঠানের পর সন্ধ্যায় ১০ লক্ষ প্রদীপের তেজে ঝলমল করবে গোটা শহর। সূত্রে খবর, ডবল ইঞ্জিন সরকারের আহ্বানে বাড়ি, দোকান, ধর্মীয় স্থান ও ঐতিহাসিক স্থানে 'রাম জ্যোতি' জ্বালানো হবে।

জানা গিয়েছে, এর আগে ভগবান রাম যখন বনবাস থেকে ফিরে এসেছিলেন, তখন অযোধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে দীপাবলি উদযাপন করা হত। অভিষেক অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর ফের 'রাম জ্যোতি' প্রজ্জ্বলন করে দীপাবলি পালন করা হবে। গত সাত বছর ধরে 'দীপোৎসব'-এর আয়োজন করে আসা যোগী সরকার ২২ জানুয়ারি অর্থাৎ সোমবার ফের একবার অযোধ্যাকে প্রদীপ দিয়ে সাজাবে, যা তার ঐশ্বরিক মহিমায় বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।

২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে যোগী সরকার প্রতি বছর দীপোৎসবের আয়োজন করে আসছে। ২০১৭ সালে যোগী সরকার অযোধ্যাকে ১.৭১ লক্ষ প্রদীপ দিয়ে সজ্জিত করেছিল এবং ২০২৩ সালের দীপোৎসবে ২২.২৩ লক্ষ প্রদীপ নিয়ে একটি নতুন রেকর্ড স্থাপন করা হয়েছিল।

জানা গিয়েছে, পর্যটন বিভাগ এই দুর্দান্ত অনুষ্ঠানের জন্য সক্রিয়ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাম মন্দির, রাম কি পৈদি, কনক ভবন, হনুমান গড়হি, গুপ্তর ঘাট, সরযূ ঘাট, লতা মঙ্গেশকর চক, মণিরাম দাস চাভানি এবং অন্যান্য বিশিষ্ট স্থানে ১০০টি মন্দির, প্রধান মোড় এবং সর্বজনীন স্থানে প্রদীপ জ্বালানো হবে। এছাড়া, যোগী সরকার গোটা দেশবাসীকে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটিকে উৎসব হিসাবে পালন করার আহ্বান জানিয়েছে। অভিষেক অনুষ্ঠানের পরে, প্রতিটি নাগরিককে সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে প্রদীপ জ্বালাতে উৎসাহিত করা হয়। সরকার জনগণকে কেবল তাদের বাড়িই নয়, দোকানপাট, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান (হোটেল, কারখানা, গাছপালা ইত্যাদি), অফিস (সরকারী ও বেসরকারি) এবং ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থানগুলোও প্রদীপ দিয়ে আলোকিত করার জন্য আবেদন করেছে। রামজ্যোতির তেজে গোটা পরিবেশ ভগবান রাম-অনুপ্রাণিত আভায় উদ্ভাসিত হবে।

আঞ্চলিক পর্যটন আধিকারিক আরপি যাদব জানিয়েছেন, '২২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ১০০টি বিশিষ্ট মন্দির ও জনসমাগমস্থলে প্রদীপ জ্বালানো হবে। এই আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, স্থানীয়ভাবে তৈরি প্রদীপ ব্যবহার করা হবে এবং স্থানীয় মৃৎশিল্পীদের প্রদীপ সরবরাহের জন্য নিযুক্ত করা হচ্ছে। মূল অনুষ্ঠানের পরে, সরকারের পাশাপাশি বড় আকারের উদযাপনে সম্প্রদায়কে জড়িত করে যথেষ্ট জনসাধারণের অংশগ্রহণ থাকবে।' 

hire