নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারতীয় বিমান বাহিনী ভাদোদরায় একটি এন ৩২ বিমান প্রস্তুত রেখেছে। আহমেদাবাদে স্ট্যান্ডবাইতে প্রয়োজন অনুযায়ী চেতক হেলিকপ্টার এবং দিল্লিতে একটি সি ১৩০ জে পরিবহন বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও জামনগর, ভুজ ও নড়িয়ায় গারুড় কমান্ডোদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনী উদ্ধার ও ত্রাণের জন্য বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০ থেকে ১৫ টি দল মোতায়েন করেছে, যার মধ্যে প্রত্যেকটিতে পাঁচজন ডুবুরি এবং ভাল সাঁতারু রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী আরও দল মোতায়েন করা হবে বলে উইং কমান্ডার জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় আঘাত হানার আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে যে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী সহ সমস্ত সশস্ত্র বাহিনী গুজরাটের স্থানীয় জনগণকে সহায়তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার গুজরাটের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র উইং কমান্ডার এন মণীশ বলেন, "প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় জনগণের কষ্ট লাঘব করার দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী গুজরাটে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয়দের সহায়তা প্রদানের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেছে।"
তিনি আরও জানান, 'প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের পরিপ্রেক্ষিতে গুজরাটের ভুজ, জামনগর, গান্ধীদামের পাশাপাশি মান্ডভি ও দ্বারকার অগ্রবর্তী এলাকায় ২৭টিরও বেশি ত্রাণ কলাম মোতায়েন করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেনা কর্তৃপক্ষ বেসামরিক প্রশাসন এবং এনডিআরএফ টিমের সঙ্গে যৌথভাবে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সভাপতিত্বে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন এবং এই সংকটের সময় সম্পূর্ণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।'
তিনি আরও বলেন, "ভারতীয় বিমান বাহিনী ভাদোদরায় একটি এন-৩২ বিমান প্রস্তুত রেখেছে। আমেদাবাদে একটি চেতক হেলিকপ্টার এবং দিল্লিতে একটি সি ১৩০ জে পরিবহন বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও জামনগর, ভুজ ও নড়িয়ায় গারুড় কমান্ডোদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনী উদ্ধার ও ত্রাণের জন্য বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০ থেকে ১৫ টি দল মোতায়েন করেছে। প্রত্যেক দলে পাঁচজন ডুবুরি এবং ভাল সাঁতারু রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী আরও দল মোতায়েন করা হবে।"
ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, "ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের জন্য ওখা এবং পোরবন্দরে ভারতীয় নৌবাহিনীর কমিউনিটি কিচেন এবং মেডিকেল টিম স্থাপন করা হয়েছে। গুজরাটের আটটি কোস্ট গার্ড স্টেশনকে ১৫টি জাহাজ ও সাতটি বিমান নিয়ে সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে রাখা হয়েছে। এছাড়া ২৯টি জেমিনি বোট, ৫০টি ওবিএম, প্রায় এক হাজার লাইফ জ্যাকেট ও ২০০টি লাইফবয় বয়েজসহ ২৩টি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল মোতায়েন করা হয়েছে।"