নিজস্ব সংবাদদাতা : বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের তথ্যমতে, ২০১৯-২০ থেকে ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের মধ্যে ভারতের ফল ও সবজি রপ্তানি ৪৭.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য বিভাগের অধীনে কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্য রপ্তানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (APEDA) কর্তৃক প্রদত্ত আর্থিক সহায়তা প্রকল্পগুলির বিরাট বড় ভূমিকা রয়েছে।
মন্ত্রকের এক অফিসিয়াল বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "এপিডিএ-র আর্থিক সহায়তা প্রকল্পগুলি ভারতের ফল ও সবজি রপ্তানিতে ৪৭.৩ শতাংশ বৃদ্ধির মূল কারণ।" এপিডিএর সহায়তায় রপ্তানিকারকদের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যেমন গ্রেডিং ও প্যাকিং লাইন, প্রি-কুলিং ইউনিট, কোল্ড স্টোরেজ, রেফ্রিজারেটেড ট্রান্সপোর্টেশন এবং বিকিরণ ও বাষ্প তাপ চিকিত্সা সুবিধা স্থাপন। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে রপ্তানিকৃত পণ্য আন্তর্জাতিক মানের মানদণ্ড পূরণ নিশ্চিত হচ্ছে।
এছাড়া, পণ্যের গুণমান বৃদ্ধির জন্য ল্যাবরেটরি পরীক্ষার সরঞ্জাম, গুণমান ব্যবস্থাপনা সিস্টেম এবং খামার-স্তরের ডেটা ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্যও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে, আমদানিকারক দেশগুলির কঠোর পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা যেমন জল, মাটি এবং কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ পরীক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে।
এপিডিএ রপ্তানিকারকদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ, ক্রেতা-বিক্রেতার বৈঠক এবং উন্নত প্যাকেজিং মান উন্নয়নের মাধ্যমে বাজারে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করতে সহায়তা করছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে, ভারতের তাজা ফল এবং সবজি ১২৩টি দেশে রপ্তানি করা হয়েছে। গত তিন বছরে, ভারত ১৭টি নতুন বাজারে প্রবেশ করেছে, যার মধ্যে ব্রাজিল, জর্জিয়া, উগান্ডা, পাপুয়া নিউ গিনি, চেক প্রজাতন্ত্র এবং ঘানা অন্তর্ভুক্ত।
মন্ত্রক আরও জানিয়েছে যে, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রক (MoA&FW) এবং এপিডিএ বৈশ্বিক বাণিজ্যের সুযোগ সম্প্রসারণে ফোকাসড বাণিজ্য আলোচনার জন্য মূল পণ্য এবং লক্ষ্য দেশগুলিকে চিহ্নিত করেছে। এপিডিএর সহায়তায় উদ্যানজাত পণ্যের সমুদ্র পরিবহন প্রোটোকল উন্নয়নের জন্য বিশেষ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে এবং ভারতীয় কূটনৈতিক মিশনের মাধ্যমে আমদানিকারক দেশগুলির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা হচ্ছে। এই চলমান প্রচেষ্টাগুলির মাধ্যমে, এপিডিএ ভারতের কৃষি রপ্তানির শক্তি বৃদ্ধি করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।