নিজস্ব সংবাদদাতা: সদ্য লোকসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। তারই মধ্যে ‘একদেশ, এক ভোট’ বিষয়ে কমিটি তৈরি করেছে কেন্দ্র সরকার। এদিকে, সদ্য ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে বিরোধী ২৮ টি দল ‘একদেশ, এক ভোট'- এর ব্যাপক বিরোধিতা করেছে। এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে যে তাহলে কি এবার লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতে পারে? দেশের ৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোট পিছিয়ে দেওয়া ও লোকসভা ভোট এগিয়ে আনা নিয়ে জল্পনার মাঝেই এক সাক্ষাৎকারে মোদী সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য অনুরাগ ঠাকুর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন।
লোকসভা ভোট এগিয়ে আনা বা বিধানসভা ভোট পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে যে চর্চা চলছে তা স্রেফ মিডিয়ার ‘অনুমান’ বলে প্রকাশ্যে পুরো বিষয়টা জলের মোট স্পষ্ট করে মন্তব্য করেছেন অনুরাগ। তিনি জানান যে প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর নিজের মেয়াদের শেষ দিন পর্যন্ত ভারতের নাগরিকদের সেবা করে যেতে চান। মোদী মন্ত্রিসভার এই মন্ত্রী বলেন যে সরকার এক দেশ, এক ভোট নিয়ে একটি কমিটি বানিয়েছে। আর সেই কমিটি সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলবে, এক দেশ এক ভোট নীতি কার্যকর করার আগেই।
এবার ‘একদেশ, এক ভোট’ নীতি নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই একটি জল্পনা উঠে আসে যে ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোট পিছিয়ে আর লোকসভা ভোট এগিয়ে তা একসঙ্গে করে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন মোদী মন্ত্রিসভার সদস্য অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলছেন যে বিধানসভা ভোট নিয়ে সময় ঠিক করে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের তরফে তো তেমন কিছু বলা হয়নি। যে রাজ্যে বিজেপি সরকারে আছে সেখানেও তো মুখ্যমন্ত্রীরা ভোট পিছিয়ে দেওয়া বা এগিয়ে আনার কথা ঘোষণা করেননি এখনও। অনুরাগ ঠাকুর সাফ জানিয়েছেন যে ভোট এগিয়ে আনা বা পিছিয়ে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা করছে না মোদী সরকার। তিনি এও জানিয়ে দেন যে সেপ্টেম্বরে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে কী অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা সঠিক সময়ে জানাবেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। একদেশ এক ভোট বিষয়ক যে কমিটি গড়া হয়েছে, সেখানে রয়েছেন রামনাথ কোবিন্দ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ,নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী, রয়েছেন গুলাম নবী আজাদ, এন কে সিং, সংবিধান বিশেষজ্ঞ সুভাষ সি কাশ্যপ, হরিশ সালভে এবং সঞ্জয় কোঠারি। কমিটির প্রধান করা হয়েছে প্রাক্তন রাস্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে।