নিজস্ব সংবাদদাতাঃ এনসিপি (NCP) কার? শরদ পাওয়ার নাকি অজিত পাওয়ারের? এখন মহারাষ্ট্রের রাজ্য রাজনীতির অন্দরে কান পাতলে এই প্রশ্নই শোনা যাচ্ছে। শরদ পাওয়ার এবং অজিত পাওয়ার দুজনেই দলের নাম ও প্রতীকের দাবি জানাতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন। অন্যদিকে দুই দলের শক্তি প্রদর্শনও চলছে। অজিত পাওয়ার বিধায়কদের একটি বৈঠক ডেকেছেন এবং সমর্থকরা সেই বৈঠকে আসতে শুরু করেছেন।
একইসঙ্গে শরদ পাওয়ারও একটি বৈঠক ডেকেছেন আর সেই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন অনেকে। দুপুর ১টায় নির্মল পয়েন্টের ওয়াইবি চাণক্য সেন্টারে শরদ পাওয়ারের বৈঠক শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। অন্যদিকে বান্দ্রাতে চলেছেও অজিত পাওয়ারের বৈঠক।
মহারাষ্ট্রে এনসিপি বনাম এনসিপি সংকটের মধ্যে মুম্বাইয়ে একই সাথে দুটি পৃথক সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে খবর। আর সেই বৈঠকের ছবি ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এমইটি বান্দ্রায় এনসিপির সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক, এমএলসি, জেলা প্রধান এবং রাজ্য প্রতিনিধিদের একটি বৈঠক ডেকেছেন এবং শরদ পাওয়ার ওয়াইবি চৌহান অডিটোরিয়ামে সমস্ত সদস্যদের একটি বৈঠক ডেকেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে ‘মহা নাটক’ শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। এনসিপি (NCP) ছেড়ে মহারাষ্ট্রের এনডিএ জোটে যোগ দিয়েছেন অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar)।
এনসিপি প্রধান ও কাকা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে অজিত পাওয়ারের রাজনৈতিক বিদ্রোহের পর গত কয়েকদিন ধরে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। রবিবার ২ জুলাই বিজেপি-শিবসেনা একনাথ শিন্ডে সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন অজিত পাওয়ার। রবিবার অজিত পাওয়ার মোট ৯ জন বিধায়ককে নিয়ে রাজভবনে গিয়ে হঠাতই হাজির হন। এরপরেই রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন অজিত পাওয়ার। এদিকে এই ঘটনার পরেই দেশের রাজধানী দিল্লি সহ গোটা মহারাষ্ট্রে তোলপাড় শুরু হয়।
এরপর থেকে রাজ্যের রাজনীতির ‘চাণক্য’ হিসেবে খ্যাত শরদ পাওয়ার এবং গত কয়েক বছর ধরে এনসিপির সাংগঠনিক রাজনীতিতে সক্রিয় অজিত পাওয়ার দুজনেই বুধবার নেতা, সাংসদ, বিধায়কদের বৈঠকের জন্য ডাকেন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এনসিপির এই দুই গোষ্ঠীর বৈঠকের পর জানা যাবে কোন দলের বেশি ক্ষমতা রয়েছে। এনসিপির জাতীয় সভাপতি শরদ পাওয়ার বুধবার দুপুর ১টায় তাঁর শিবিরের নেতাদের একটি বৈঠক ডেকেছেন। অজিত পাওয়ার, ছগন ভুজবল, দিলীপ ওয়ালসে পাতিল এবং হাসান মুশরিফ-সহ নয় জন বিধায়কের বিদ্রোহের পর রবিবার দল ভেঙে যাওয়ার পর এই প্রথম দুই দলের পদাধিকারীদের বৈঠক হবে। উভয় দলই দাবি করেছে যে তাদের বেশিরভাগ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে।
Amid NCP vs NCP crisis in Maharashtra, two different meetings take place simultaneously in Mumbai.
— ANI (@ANI) July 5, 2023
Deputy CM Ajit Pawar has called a meeting of all NCP MPs, MLAs, MLCs, District heads and State delegates at MET Bandra while Sharad Pawar has called a meeting of all members at YB… pic.twitter.com/oe9b8z1AcV