২ সেপ্টেম্বর রাজ্যে রাহুল গান্ধী, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র আড়াই মাস বাকি। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপি ও কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতারা ক্রমাগত ছত্তিশগড়ের দিকে মনোনিবেশ করছেন। উভয় দলের সিনিয়র নেতারা রাজ্য সফর করছেন। উভয় দলের নেতারা নির্বাচনী ময়দানে পুরোপুরি ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।

author-image
SWETA MITRA
New Update
rahul chattis.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বড় ঘোষণা করলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ সিং বাঘেল (Bhupesh Singh Baghel)। আজ রবিবার বিলাসপুরে দাঁড়িয়ে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) আগামী ২ সেপ্টেম্বর রায়পুরে আসছেন। রাজীব যুব মিতান ক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। এটা হবে তরুণদের সমাবেশ"।

 

জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র আড়াই মাস বাকি। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপি ও কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতারা ক্রমাগত ছত্তিশগড়ের দিকে মনোনিবেশ করছেন। উভয় দলের সিনিয়র নেতারা রাজ্য সফর করছেন। উভয় দলের নেতারা নির্বাচনী ময়দানে পুরোপুরি ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত ২০ আগস্ট রায়পুরের সায়েন্স কলেজ মাঠে বক্তব্য পেশ করেন। এরপর শোনা যাচ্ছে, আগামী ২৬ আগস্ট কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, ২ সেপ্টেম্বর কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং ১৯ সেপ্টেম্বর কেসি বেণুগোপাল পরিদর্শন করবেন।

 

এদিকে ইতিমধ্যে আসন্ন ভোটকে পাখির চোখ করে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে ফেলেছে বিজেপি (BJP)। আসন্ন ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ২১ জন প্রার্থীর প্রথম তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। কাঁকের থেকে আশারাম নেতাম, প্রেমনগর থেকে ভুলন সিং মারাউই এবং কোরবা থেকে লক্ষনলাল দেবাঙ্গনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। প্রথম তালিকায় বিজেপি সাংসদ বিজয় বাঘেল ছাড়াও ১০ টি তফসিলি উপজাতি এবং একটি এসসির উপর আস্থা রেখেছে।

সাংসদ বিজয় বাঘেল ভূপেশ বাঘেলের ভাইপো এবং পাটন আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এই আসন থেকে নির্বাচনে জিতেছিলেন আগেরবার। এমন পরিস্থিতিতে এই আসনে নির্বাচন হবে কাকা বনাম ভাইপো। এই তালিকায় পাঁচজন মহিলাও রয়েছেন।

 

সূত্রের খবর, যেসব আসনে বিজেপি দুর্বল, সেসব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। একই সঙ্গে এবার জাতিগত সমীকরণকে অগ্রাধিকার দিয়ে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার অনেক আগেই প্রথম তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের পক্ষে পরিবেশ তৈরি করার সময় পেয়েছে দলটি।

এদিক প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রস্তুতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজেপির হাই কমান্ডের তরফে। একই সঙ্গে আয়কর, পারিবারিক সম্পত্তির বিবরণ, ফৌজদারি মামলার তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, সার্টিফিকেট ইত্যাদি সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। যাতে কাগজপত্র শক্তিশালী থাকে এবং মনোনয়নপত্র বাতিল করার প্রয়োজন না হয়।