নিজস্ব সংবাদদাতা: শহরে চলছে লাগাতার ইডির অভিযান। কলকাতা শহর সহ সংলগ্ন অঞ্চলের বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালে একটি তথ্য প্রকাশ করে। সেই তথ্যে বাংলায় ফিউচার গেমিং নামে এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতারণার তথ্য উঠে আসে। কেরলের কোচি শহরের এক বাসিন্দা এই গেমিং অ্যাপের শুরুয়াৎ করেন। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে এই গেমিং অ্যাপের দৌরাত্ম্য।
ওই ব্যবসায়ীর সূত্র ধরেই এই রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে বহু মানুষ এই প্রতারণা অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। মধ্যমগ্রাম, বনগাঁ, জগৎবল্লভপুর, রূপনারায়নপুর, কদম্বগাছি, নিউটাউন সহ বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে এই চক্র। বাড়িতে বসেই চলছে এই অবৈধ কারবার।
এরাজ্যে প্রায় কুড়িজন এমনই ব্যক্তিদের ঠিকানায় অভিযানে নামে ইডি। সাধারণত লটারির মাধ্যমেই চালানো হয় এই গেমিং অ্যাপ বলে জানা যায়। ৬০ হাজার কোটি টাকার লটারি দুর্নীতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে গোটা দেশে। তার সূত্র ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবাংলাতেও।
লটারি টিকিট বিক্রি করেও সেই টিকিট নম্বরে লটারি না করে সম্পূর্ণ অন্য সিরিয়াল নম্বরের মাধ্যমে প্রভাবশালীদের টাকা পাইয়ে দেওয়ার মতন দুর্নীতির কথা সামনে এসেছে। চলতি মাসের ২ তারিখ থেকেই দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যেমন হানা দিচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
তেমনভাবে এই কলকাতা এবং সংলগ্ন উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ২ ঠিকানায় হানা দিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। চলছে গ্রেপ্তারী ধরপাকড় এবং তল্লাশি অভিযান। আর এর মধ্যেই ফের টাকার পাহাড় উদ্ধার হল এই মামলায়। গতকাল থেকে চলা তল্লাশি অভিযানেই মিলেছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। গণনার কাজ চলছে এখনও। অর্থাৎ সেই সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলেই অনুমান করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।