নিজস্ব সংবাদদাতা: জন সুরাজ দলের প্রধান প্রশান্ত কিশোর ১৪ দিন পর বৃহস্পতিবার অনশন তুলে নিলেন। গত মাসে অনুষ্ঠিত বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি) পরীক্ষায় অনিয়মের প্রতিবাদে পিকে এবছর ২ জানুয়ারি থেকে আমরণ অনশনে বসেছিলেন। আর টানা ১৪ দিন বিভিন্ন বাধা বিপত্তি কাটিয়ে অবশেষে প্রশান্ত কিশোর তুলে নিলেন তাঁর অনশন।
এদিন অনশন ভাঙার আগে পিকে পাটনার গঙ্গা পথের কাছে পবিত্র নদী গঙ্গায় প্রতীকী ডুব দেন। তারপর ১৪ দিনের অনশন প্রত্যাহার করার পরই দেন হুঁশিয়ারি। এদিন তিনি সাফ ভাষায় জানিয়ে দেন 'সত্যগ্রহ' আন্দোলনের পরবর্তী পর্বও শুরু করবেন খুব তাড়াতাড়ি।
এদিন প্রশান্ত কিশোর বলেন, “এটা কোনো মিছিল বা প্রতিবাদ নয়। গত ১৪ দিন ধরে, জন সুরাজ পরিবারের পক্ষ থেকে, ছাত্ররা যাতে ন্যায়বিচার পায় সেজন্য আমি চেষ্টা করেছি। প্রশান্ত কিশোর এই লড়াই শুরু করেননি। এই সংগ্রাম শুরু করেছিলেন বিহারের সেই ছাত্ররা, যারা বিশ্বাস করেন যে বিপিএসসি পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। আর তাঁদের জন্যেই তিনি শুরু করেছিলেন এই অনশন। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আবারও একই পথে হাঁটবেন”।
এরপরই পিকে এদিন একটি বিষয় স্পষ্ট করে দেন যে তিনি সত্যাগ্রহ শুরু করবেন। বিহার সত্যাগ্রহ আশ্রম নামে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করবেন। তিনি বলেন, এই স্থানটি সমস্ত নিপীড়িত মানুষের জন্য একটি কণ্ঠস্বর হিসাবে কাজ করবে। যারা সিস্টেম দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে তাদের জন্যেই গড়ে উঠবে এই প্রতিষ্ঠান। তিনি জোর দিয়েছিলেন যে আশ্রমের সমস্ত কার্যক্রম প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া এবং অনুমতি অনুসরণ করবে।
আশ্রমে আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে এক লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনাও ভাগ করেছেন প্রশান্ত কিশোর। উদ্দেশ্য হল তাদের সন্তানদের জন্য একটি ভাল ভবিষ্যত গড়ে তোলার পাশাপাশি বর্ণ ও ধর্মীয় বিভাজনের বাইরে গিয়ে সমাজকে অনুপ্রাণিত করা। আর এদিন তারই হুঁশিয়ারি দিয়ে অনশন প্রত্যাহার করেন পিকে।