মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, ভয়াবহ ভাঙন, গঙ্গাবক্ষে তলিয়ে গেল একের পর এক বাড়ি

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুক্রবার পূর্ব চম্পারণ, সীতামারি, শেওহর, মুজাফফরপুর, মধুবনী এবং দরভাঙ্গা জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

author-image
SWETA MITRA
New Update
bihar rain.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ লাগাতার ভারী বৃষ্টির (Heavy Rainfall) কারণে দেশের একের পর এক রাজ্য বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভারী বৃষ্টি হচ্ছে বিহারেও (Bihar)। এদিকে ভারী বৃষ্টির কারণে ভয়াবহ কাণ্ড ঘটে গেল রাজ্যে। দেখা দিল ভাঙন। ভাগলপুর জেলার নওগাছিয়ায় মাটির ভাঙনে গঙ্গা নদীর তীরের কাছে একটি কুঁড়েঘর ভেসে গেল। ইতিমধ্যে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। 

 

বিহারের সীমাঞ্চল অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত সাধারণ মানুষের জন্য একটি বিপর্যয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আরারিয়া জেলায় অবিরাম বৃষ্টিপাত শহরটি নদীতে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার আরারিয়া ও ফারবিসগঞ্জ শহরের নিচু এলাকাগুলি একপ্রকার হ্রদে পরিণত হয়েছে। ফারবিসগঞ্জের সদর রোডে কোমর পর্যন্ত জল জমে যাওয়ায় গাড়ি চালানো এমনকি হাঁটাচলা করাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে মানুষের। বাজারের অনেক দোকানে বন্যার জল ঢুকে পড়েছে।

impact

জল জমে যাওয়ার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রাজ্যের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ফসবিসগঞ্জে সদর রোডের অনেক দোকানে জল ঢুকে পড়ায় দোকানদারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এখানে থাকা পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সামনের রাস্তায় কোমর পর্যন্ত জল। পোস্ট অফিস চক থেকে রেল স্টেশন পর্যন্ত শুধু জল। বাজার কমিটির অবস্থা একপ্রকার নরকের চেয়েও নাকি খারাপ হয়ে গেছে বলে দাবি সাধারণ মানুষের। জলের তলায় চলে গিয়েছে একের পর এক ওয়ার্ড বলে খবর। 

 

আরারিয়া শহরের নিচু এলাকায় প্রায় একই অবস্থা। আরারিয়া বাসস্ট্যান্ড, গায়ত্রী মহল্লা, এসপি গেট সহ ব্লক সদরের রাস্তাগুলি কাদা হয়ে যাওয়ায় মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।  তবে এখনই এসব থেকে মুক্তি মিলবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য আবহাওয়া দফতর। জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার আরারিয়া-সহ বিহারের ১৫টি জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। আগামী ২৪ ঘন্টা ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। যদিও আগামীকাল শুক্রবার থেকে এই বৃষ্টির দাপট কমবে বলে আশ্বাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

 

বিহারে সক্রিয় বর্ষা হওয়ার কারণে, অনেক জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় রাজধানী পাটনাসহ অন্যান্য এলাকায় ভারী বর্ষণের ফলে অনেক জায়গায় জল জমে গিয়েছে।  শুক্রবার পাটনা-সহ রাজ্যের বেশিরভাগ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের ১৫টি জেলায় ভারী বৃষ্টির জন্য কমলা ও হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। তবে গত তিন দিনের তুলনায় শুক্রবার কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।