প্রকাশ্য দিবালোকে শুটআউট, খুন বিজেপি নেতা

মোরাদাবাদ পুলিশ এক বিবৃতি জারি করে বলেছে যে, "দুই পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক শত্রুতা ছিল। চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য পাঁচটি টিম গঠন করা হয়েছে।'

author-image
SWETA MITRA
New Update
bjp dead.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ এবার প্রকাশ্য দিবালোকে খুন করা হল বিজেপি (BJP) নেতাকে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয় বিজেপি নেতা অনুজ চৌধুরিকে। মোরাদাবাদের পার্শবনাথ অ্যাপার্টমেন্ট কলোনিতে বিজেপি কিষান মোর্চার রাজ্য কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অনুজ চৌধুরিকে তাঁর বাড়ির বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ নাখাসার (সাম্বল) পুনীতের সঙ্গে অ্যাপার্টমেন্টের ভিতরে হাঁটছিলেন তিনি। এরপর মোটরসাইকেলে করে তিনজন হামলাকারী এসে গুলি ছোঁড়ে।

 

এরপর অনুজ চৌধুরিকে মোরাদাবাদের ব্রাইটস্টার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় অনুজ চৌধুরি আসামোলি ব্লক থেকে ব্লক প্রধান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এদিকে অনুজ চৌধুরির পরিবার এই হত্যার জন্য রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের দায়ী করেছে। পুলিশ চারজনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলা দায়ের করেছে এবং অভিযুক্তদের খুঁজছে।

 

এক রিপোর্ট অনুযায়ী, অনুজ চৌধুরির নির্বাচনের পর আসমোলির ব্লক প্রধান হওয়া এক মহিলার ছেলে অনিকেতকে নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছিল। অনুজ চৌধুরি বর্তমান ব্লক প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনারও ঘোষণা করেছিলেন, তখন থেকেই দু'জনের মধ্যে আরও উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, ব্লক প্রধান সন্তোষ দেবীর স্বামী, ছেলে অনিকেত এবং তাদের দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

মোরাদাবাদ পুলিশ এক বিবৃতি জারি করে বলেছে যে, "দুই পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক শত্রুতা ছিল। চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য পাঁচটি টিম গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে এবং কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। " ইতিমধ্যে ওই বিজেপি নেতার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে।

 

মোরাদাবাদের এসএসপি হেমরাজ মীনা বলেন, "অনুজ চৌধুরী নামে ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতীরা গুলি করে হত্যা করে। অনুজ চৌধুরীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। অনুজ পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অমিত চৌধুরী ও অনিকেত নামে দু'জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে মামলাটির অধিকতর তদন্ত চলছে। "

 

বিজেপি নেতার পরিবার সূত্রে খবর, অনুজ চৌধুরির ধারণা ছিল যে তাকে আক্রমণ করা যেতে পারে। এ কারণেই তিনি নিরাপত্তা নিয়ে যথেষ্ট সজাগ ছিলেন। তিনি কখনো একা বাড়ির বাইরে বেরোতেন না। সরকারি বন্দুকধারী পাওয়া সত্ত্বেও তিনি ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীও রেখেছিলেন। তিনি তার নিরাপত্তার জন্য প্রতি মাসে এক লাখ টাকা ব্যয় করতেন।