পাখির চোখ লোকসভা ভোট! মোদীর অষ্টম পে কমিশন আসছে?

২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন UPA সরকার ৭ম পে কমিশন গঠন করেছিল। কর্মচারী, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মী এবং পারিবারিক পেনশনভোগীদের মন জয়ে এবারেও কি সেদিকেই এগোচ্ছে মোদী সরকার?

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
modi27M

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: আগামী বছর হবে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে অষ্টম পে কমিশন গঠন করা হবে বলে আশা নিয়ে অপেক্ষা করেছিলেন সরকারি কর্মীরা। কিন্তু, তাঁদের সেই আশায় জল ঢেলে দিল মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থসচিব টিভি সোমানাথান স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে এখন অষ্টম পে কমিশন বসানোর কোনও পরিকল্পনা নেই।

সপ্তম বেতন কমিশনের পর কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী থেকে পেনশনভোগীরা অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের দাবিতে সরব হয়েছেন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে কেন্দ্রীয় সরকার অষ্টম বেতন কমিশনের গঠন করতে পারে বলেই আশাবাদী ছিলেন সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীরা। কিন্তু তাঁদের সেই আশায় একেবারে ভেঙে গেল। টিভি সোমানাথান বলেন যে অষ্টম বেতন কমিশন বসানোর পরিকল্পনা নেই। এই মুহূর্তে কোনও বকেয়া নেই।

অতীতে দেখা যায় যে নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকার তার কর্মচারী, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মী এবং পারিবারিক পেনশনভোগীদের খুশি করতে অন্যতম পথ হিসাবে পে কমিশন বসানো বা এর সুপারিশ করা বাস্তবায়ন করেছে। যেমন, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন UPA সরকার সপ্তম পে কমিশন গঠন করে। কিন্তু, বিজেপি নেতৃত্বাধীন NDA সরকার যে সেই পথে এখন আর হাঁটছে না, তা কেন্দ্রীয় অর্থসচিবের বিবৃতিতেই স্পষ্ট হয়ে গেল। তবে পেনশনভোগীদের জন্য NPS প্রকল্পের বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা চলছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন সোমানাথান। গত বাদল অধিবেশনে লোকসভায় অষ্টম পে কমিশন উত্থাপনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সেই সময়ও কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি জানিয়ে দেন যে সরকারি কর্মীদের অষ্টম বেতন কমিশন তৈরির কোনও প্রস্তাব এখন বিবেচনা করা হচ্ছে না। নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী অষ্টম বেতন কমিশন তৈরি করা হবে, যা ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে কার্যকর করা হবে।

সরকার যদি কর্মীদের আবেদনে সাড়া দেয়, তবে ন্যূনতম বেতনে বড় অঙ্কের বৃদ্ধি করা হতে পারে  অষ্টম পে কমিশনের অধীনে। অষ্টম বেতন কমিশন কার্যকর হলে কেন্দ্রীয় কর্মীদের বেতনে ব্যাপক মাত্রায় বৃদ্ধি হতে পারে। এছাড়াও, ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরেও পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। জল্পনা অনুযায়ী, কর্মচারীরা তাদের মূল বেতন ৪৪ শতাংশের বৃদ্ধির সাক্ষী হতে পারে। এছাড়াও, ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরও প্রায় ৩.৬৮ গুণ বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি করা হচ্ছে।