নিজস্ব সংবাদদাতা: সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকরী হলে রাজ্যের কোষাগারে কী প্রভাব পড়তে পারে? এই নিয়ে আলোচনা করতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যদি সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় বেতন দেওয়া হয় এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সেই বেতন কমিশনের আওতায় পেনশন দিতে হয়, তাহলে রাজ্যের কোষাগারের উপর কতটা প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত বছর নভেম্বরে সপ্তম বেতন কমিশন গঠন করে কর্ণাটক সরকার। প্রাথমিকভাবে ৬ মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল কমিশনের। পরবর্তীতে তা বৃদ্ধি করে নভেম্বর করা হয়েছে। সেই মেয়াদ আরও একদফায় বাড়ানো হতে পারে বলে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে। এবারও কমিশনের মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ানো হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ের সঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যসচিবের বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে সরকারিভাবে কিছু তথ্য দেওয়া হয়নি। তবে জানা গেছে যে সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করা হলে রাজ্যের কোষাগারের উপর কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে এক দীর্ঘ আলোচনা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রিপোর্ট পেশ করার বিষয়ে কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি কমিশনের তরফে।
এদিকে কর্ণাটকে যদি সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর হয়, তাহলে এক লাফে বাড়বে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন। সেইসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের পেনশনও বৃদ্ধি পেতে পারে। সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর হলে প্রথম বছরে কর্ণাটক সরকারের ১২,০০০ কোটি টাকা থেকে ১৮,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদি সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করা হয়, তাহলে কর্ণাটকের ৬ লাখ রাজ্য সরকারি কর্মচারী লাভবান হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। লাফিয়ে তাঁদের বেতন বেড়ে যাবে। অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের পেনশনও সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পাবে।