নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রোডাক্টিভিটি-লিঙ্কড বোনাস বাড়াতে হবে। উৎসবের মরশুমে যেভাবে বোনাস দেওয়া হয়, সেই পদ্ধতি পাল্টে দিয়ে সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় বোনাস দেওয়ার দাবি তুলেছে 'ইন্ডিয়ান রেলওয়ে এমপ্লয়িজ ফেডারেশন'। এর সদস্যদের বক্তব্য, আপাতত ষষ্ঠ বেতন কমিশনের ন্যূনতম বেতনের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া হয়। কিন্তু ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ন্যূনতম বেতন আসলে নাকি খুবই কম। তাই বোনাসও বেশি দেওয়া হয় না এক্ষেত্রে। সেটাই বাড়ানোর দাবি করছেন এবার রেলকর্মীরা।
প্রতি বছর উৎসবের মরশুমের আগে রেলকর্মীদের বোনাস দেওয়ার রীতি রয়েছে। সব নন-গেজেটেড কর্মীরা (গ্রুপ ‘সি’ এবং গ্রুপ ‘ডি’) ৭৮ দিনের বেতনের সমান বোনাস পেয়ে থাকেন। মূলত কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তাঁদের সেই বোনাস উপহার দেওয়া হয়ে থাকে। আর সেই বোনাস আবার হিসাব করা হয় সর্বনিম্ন গ্রেডের কর্মচারীদের প্রাপ্ত ন্যূনতম বেতনের উপর। 'ইন্ডিয়ান রেলওয়ে এমপ্লয়িজ ফেডারেশন' বলছে যে রেল ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। তারপরও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ন্যূনতম বেতনের ভিত্তিতে ‘প্রোডাক্টিভিটি-লিঙ্কড বোনাস’-র হিসাব করা হয় এবং সেটার ভিত্তিতেই উৎসবের মরশুমে রেলকর্মীদের বোনাস দেওয়া হয়ে থাকে। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় গ্রুপ 'ডি' কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন হল ৬,০০০ টাকা। সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় সেটা বাড়িয়ে ১৮,০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। ফেডারেশন দাবি করছে যে গ্রুপ 'সি' এবং 'ডি'-র কর্মীরা মাত্র ১৭,৯৫১ টাকা বোনাস পেয়ে থাকেন। এর কারণ হল মাসিক ৭,০০০ টাকার বেতনের নিরিখে সেই বোনাসের হিসাব করেই বোনাস দেওয়া হয় তাঁদের।
'ইন্ডিয়ান রেলওয়ে এমপ্লয়িজ ফেডারেশন' বলছে যে রেলকর্মীদের ‘প্রোডাক্টিভিটি-লিঙ্কড বোনাস’ বাড়িয়ে ৪৬,১৫৯ টাকা করে দেওয়া উচিত। অঙ্কটা সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় ন্যূনতম বেতনের ভিত্তিতে হিসাব করলে এটাই দাঁড়ায়।