নিজস্ব সংবাদদাতা: ৩০ সেপ্টম্বের ২০০০ টাকার নোট জমা দেওয়ার শেষ দিন এটা জানেন তো? গত ১৯ মে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) ঘোষণা করে দিয়েছে যে বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়া হবে। এর জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে আরবিআই। কিন্তু দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে যে এখনও বাজারে ২৪ হাজার কোটি টাকার মতো ২ হাজার টাকার নোট পড়ে রয়েছে যা দেওয়া হয়নি জমা।
প্রশ্ন হল, এই বিপুল অঙ্কের নোট যেখানে বাজারে পড়ে রয়েছে, সেখানে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কী ব্যবস্থা নিতে পারে? কারণ, নিয়ম অনুযায়ী ৩০ সেপ্টেম্বরের পর ২০০০ টাকার নোট নিজের কাছে রাখলে তা অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হবে। তবে কি টাকা জমা দেওয়ার সময়সীমা আরও কিছুটা বাড়াতে পারে দেশের এই শীর্ষ ব্যাঙ্ক? সেই রকম কোনও সম্ভাবনার কথা জানা যায়নি এখনও। তবে বাজারে পড়ে থাকা ২০০০ টাকার নোটের অঙ্ক দেখে সেই রকমটাই আন্দাজ করছে মানুষ। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। সেক্ষেত্রেও বাতিল টাকা ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ৩১ ডিসেম্বর। তার মধ্যে টাকা জমা না করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হবে এটা বলে দেওয়া হয়।
৫০০ বা হাজার টাকার ১০টির বেশি পুরনো নোট রাখার জন্য সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। এই আইনে জেলে যাওয়ার নিয়মও ছিল। মনে করা হচ্ছে ২০০০ টাকা নোটের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকরী হতে পারে। অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বরের পর ২০০০ টাকার ঘরে রাখলে জেল পর্যন্ত যেতে হতে পারে আপনাকে। ২০১৭ সালে সংসদে ব্যাঙ্ক নোট আইন পাশ করানো হয়। এই আইন অনুযায়ী ১০টির বেশি পুরনো নোট এবং গবেষণা বা শিক্ষা সংক্রান্ত কাজে ২৫টির বেশি বাতিল নোট রাখা যাবে না। বিধি ভঙ্গ করলে তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে ধরে দেওয়া হবে। তাহলে কি আপনার কাছে এখনো বেশ কিছু ২০০০ টাকার নোট রয়ে গেছে? যদি থেকে থাকে তবে এখনই সেটা ব্যাঙ্কে জমা করার ব্যবস্থা করুন। নইলে জেলে যাওয়া কেউ আটকাতে পারবে না।