নিজস্ব সংবাদদাতা: ঝাড়খণ্ডের সেরাকেলা থানা এলাকায় খরকাই নদীর তীরে ২৭ নভেম্বর সংঘটিত ১৯ বছর বয়সী যোদ্ধা সঞ্জনা হাঁসদা হত্যার মামলার সমাধান হয়েছে। সেরাইকেলার এসপি মুকেশ লুনায়াত বুধবার জানিয়েছেন যে মৃতের সিনি ওপি এলাকার চাদক পাথরের বাসিন্দা রোহিত মুর্মু নামে এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
২৭ নভেম্বর রোহিতের সঙ্গে দেখা করতে মেয়েটি খরকাই নদীর তীরে শাসান গ্রামে পৌঁছেছিল। এ সময় রোহিত তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কের চেষ্টা করে। মেয়েটি এর প্রতিবাদ করায় ক্ষুব্ধ আসামি তাকে পাথর দিয়ে পিষে হত্যা করে। ঘটনার পর অভিযুক্ত রোহিত তার অপরাধ স্বীকার করেছে। পুলিশ তাকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আসামির মোটরসাইকেল, নিহতের স্লিপার ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। ওই কিশোরীর মুখ পাথর দিয়ে পিষে দেয় অভিযুক্তরা। যার কারণে লাশ শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে এসপি লুনায়ত বলেন, হত্যার পেছনে গণধর্ষণের কোনো প্রমাণ নেই, এটি একতরফা প্রেম ও ঝগড়ার ঘটনা। হত্যার পর এই ঘটনা নিয়ে ডিজিটাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার শুরু হয়, যাতে দাবি করা হয় এটা গণধর্ষণ। এতে স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।