নিজস্ব সংবাদদাতা : ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পুদুচেরিতে কার্যত ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড় শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝরের প্রভাবে সোমবার রাত থেকে চেন্নাইয়ে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। গোটা শহরটাই প্রায় জলের তলায় চলে যায়। বৃষ্টি কমার সঙ্গে সঙ্গে জল নামতে শুরু করেছে। তবে এখনও চেন্নাইয়ের একাধিক জায়গা জলের তলায়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চেন্নাই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহত্তর চেন্নাইয়ের পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে শহরে মোট ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুধু চেন্নাই নয়, তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাতুর অঞ্চলে ভেঙে পড়েছে ব্রিজ। জলে বিপজ্জনকভাবে ভাসছে বিদ্যুতের তার। একাধিক জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তামিলনাড়ুর প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ পৌঁছে দিতে বিমান বাহিনীর সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বায়ু সেনার তরফে জাননো হয়েছে, তামিলনাড়ু সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ত্রাণ পৌঁছানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন ৫০৬০ কোটি টাকার তাৎক্ষণিক ত্রাণ চেয়ে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির পরিমাণ পর্যালোচনা করতে একটি কেন্দ্রীয় কমিটিকে রাজ্যে আসার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর এবং মছলিপত্তনমের উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ম্যাগজাউম। আছড়ে পড়ার সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১০ কিমি। কিন্তু এই ঘূর্ণিধড় আছড়ে পড়ার আগেই তামিলনাড়ু, অন্ধপ্রদেশের একাধিক অঞ্চল ও পুদুচেরিতে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। যার জেরে একাধিক অঞ্চল জলের তলায় চলে যায়। তামিলনাড়ুর কোট্টুরপুরম, মুথিয়ালপেট, তাম্বারম, অশোকনগর, কাট্টুপক্কম, পেরুনগুড়ি জলের তলায় চলে যায়। মঙ্গলবার থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুধু চেন্নাইয়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। চেন্নাই বিমানবন্দর একপ্রকার জলের তলায় চলে যায়।
তবে বুধবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। জল নামতে শুরু করলেও চেন্নাইয়ের একাধিক জায়গা এখনও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। অনেক জায়গাতে এখনও বিদ্যুৎ পরিষেবা শুরু হয়নি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কাটিয়ে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, পুদুচেরির বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে।