প্রথায় কোনও পরিবর্তন হয়নি বর্ধমান রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর

দুর্গাপুজো মানেই মনে খুশি খুশি হাওয়া। আকাশ বাতাস জুড়ে এই খুশির আমেজ অনুভব করা যায়। শরতের আকাশে নীল মেঘ আর কাশের ঠাণ্ডা হাওয়া আমাদের মনকে দোলা দেয়।

author-image
Adrita
New Update
b

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্তমানের দুর্গাপুজোর মূল আকর্ষণ হল থিম পুজো। তবে এই থিম পুজোর আড়ালে আজও অমলিন হয়ে রয়েছে সাবেকি গ্রাম বাংলার পুজোগুলি। থিমের চাকচিক্যের মধ্যেও সাবেকিয়ানা বজায় রেখে চলেছে আজও কিছু পুরোনো রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। তেমনিই এক পুরোনো বিখ্যাত পুজো হল বর্ধমান রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। 

 

ব

রাজ ঐতিহ্যের শেষ সলতে বলতে ভগ্নদশা মন্দির। দেওয়াল বেয়ে জল পড়ায় শেওলা হয়ে গেছে আবার কোনও দেওয়াল চলে গেছে বট অশ্বত্থের দখলে। যেখানে অধিষ্ঠান করেন রাজার কুলদেবতা লক্ষী নারায়ণ জিউ। মন্দিরের ভিতরে দেওয়ালে টেরাকোটার কারুকার্য, দেওয়ালের পলেস্তেরা চারদিকে খসে পড়ছে।এই মন্দিরেই বর্তমানে শারদীয়ায় পুজিত হন পটেশ্বরী। পটের মধ্যেই মা দুর্গার ছবি। তিনি সপরিবারে মর্তে এসেছেন। পুরো পটটাই শোলার সাজে সজ্জিত রয়েছে। প্রত্যেক ১২ বছর অন্তর মায়ের অঙ্গরাগ হয়, অর্থাৎ নতুন করে পটে মা দুর্গার ছবি আঁকা হয়। এখানে পটেশ্বরীকে মা চণ্ডী রূপে পুজো করা হয়। নয় দিনে চণ্ডীর নয় রূপে পুজো করা হয়। বর্তমানে মন্দির ভেঙে যাওয়ায় রাজ কুলদেবতার মন্দিরেই পটেশ্বরীর পুজো হয়।