দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : রীতি রেওয়াজ মেনেই ৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে হয়ে আসছে সবংয়ের ভুঁইয়া বাড়ির দুর্গাপুজো। পায়ে পায়ে কয়েক শতাব্দী পার। এখনও সেই একই প্রথা,একই নিয়ম মেনে দেবীর আরাধনা হয়ে আসছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ভুঁইয়া বাড়িতে। তবে এই পুজোর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। এটি রাজ্যের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়ার বাড়ির পুজো।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের দশগ্রাম অঞ্চলের কোলন্দা গ্রামের ভুঁইয়া বাড়ির পুজো৷ দেবীর আরাধনায় এখানে মিলেমিশে রয়েছে ঐতিহ্য ও সাবেকিয়ানা।এই পুজো মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়ার বাড়ির ত্রয়োদশ প্রজন্মের পুজো বলে পরিচিতি। এই পুজোকে ঘিরে পরিবারের সদস্যরা তো বটেই, গ্রামের মানুষরাও হই হুল্লোড়ে মেতে ওঠেন। পরম্পরা ও রীতি মেনেই ৪০০ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে কোলন্দা ভুঁইয়া বাড়ির গড়ের পুজো। কথিত রয়েছে কন্দপর্ণনারায়ন ভূপাল দাস ভুঁইয়া বর্গীদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে কেলেঘাই নদীর পাড়ে বসবাস শুরু করেন। সেখানেই শুরু হয় এই দুর্গাপুজো।বছরের পর বছর ধরে সেভাবেই হয়ে আসছে এই পুজো।এই সময় টেরাকোটার মন্দিরে দুর্গাপুজো হত। কিন্তু আজ তা ভগ্নপ্রায় অবস্থায়। স্থানীয়দের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, দেবীর কাছে যারা যা যা মানত করেন, দেবী তার মনস্কামনা পূর্ণ করেন। ভুঁইয়া বাড়ির দুর্গাপুজোয় প্রতিদিন ভিড় জমান এলাকাবাসী। দুর্গা মণ্ডপের পাশেই রয়েছে ভুঁইয়া পরিবারের কুল দেবতা শ্যামসুন্দর জিউ ও শ্রী রাধিকার মূর্তি। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের পুজো হয়ে আসছে। কথিত আছে, ওই পরিবারের একজন স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন যে কুল দেবতা পরিবারের সঙ্গেই থাকতে চান।তারপরেই কুল দেবতাকে দুর্গা মন্দিরে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা।সেই সময় থেকেই দুর্গা মূর্তির পাশেই কুলদেবতা পূজিত হন। এই বাড়ির বিশেষ বৈশিষ্ট্য, বাইরের কোন মিষ্টি ঠাকুরকে নিবেদন করা হয় না।বাড়িতে তৈরি করা মিষ্টান্ন ভোগ দেওয়া হয় মাকে। নবমীর দিন কুমারী পুজোর বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। পাশাপাশি দশমীতে চলে সিঁদুর খেলা। তবে সারা বছর রাজনৈতিক কাজে,মন্ত্রীত্বর কাজ করলেও পুজোর দিন গুলিতে কিছুটা সময় পরিবারের সঙ্গে কাটাতেই পছন্দ করেন রাজ্যের মন্ত্রী ডঃ মানস রঞ্জন ভুঁইয়া।দেশ বিদেশে যারা থাকেন তারাও উপস্থিত হন গ্রামের বাড়িতে।আর সেই সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই দিন কাটান মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া।।অবশ্যই সঙ্গে থাকেন মানসের ছায়াসঙ্গী তথা মন্ত্রী পত্নী গীতা রানী ভুঁইয়া।