নিজস্ব সংবাদদাতা : তরুণজ্যোতি তিওয়ারি সম্প্রতি তসলিমা নাসরিনের করা একটি পোস্টের প্রসঙ্গে বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতিতে এমনভাবে জড়িয়ে পড়েছে, যা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং সাংস্কৃতিক বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তসলিমা নাসরিনের লজ্জা অবলম্বনে নাটক মঞ্চস্থ হতে না দেওয়ার ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। বাংলাদেশের পটভূমিতে লেখা একটি নাটককে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার অজুহাতে নিষিদ্ধ করা মূলত ভোটব্যাংক রাজনীতির অংশ, যা মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলির শক্তি বৃদ্ধি ও ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা প্রশ্রয় পাচ্ছে।
এছাড়াও, প্রশ্ন উঠেছে—বাংলাদেশের ঘটনা অবলম্বনে লেখা একটি উপন্যাস ভারতবর্ষের মুসলিম সমাজকে দাঙ্গার দিকে ঠেলে দেবে না, কিন্তু বাংলাদেশের মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোর জন্য এটি উদ্বেগের বিষয় হতে পারে। এর পেছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে, কাদের উদ্দেশ্যে এটি করা হয়েছে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক চলছে।
রাজ্যে জঙ্গি কার্যকলাপের বাড়বাড়ন্ত, খারিজি মাদ্রাসার সংখ্যা বৃদ্ধি এবং অতিরিক্ত সংখ্যালঘু তোষণ রাজ্যের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে তুলছে। পশ্চিমবঙ্গ এখন ধীরে ধীরে ১৯৯০ সালের কাশ্মীরের মতো পরিস্থিতিতে চলে যাচ্ছে। এই প্রবণতা শুধুমাত্র সাম্প্রদায়িক ঐক্যকেই বিপন্ন করছে না, রাজ্যের নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সরকার যদি এই তোষণ বন্ধ না করে এবং মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, তবে রাজ্যের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠবে।