পানীয় জলের সঙ্কট, তালা পড়ল পঞ্চায়েতে

দাসপুরের ৮ থেকে ১০ টি পরিবারকে অন্য গ্রামে গিয়ে অনেক দূর থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করতে হয়। প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
Screenshot 2023-08-23 131717.png

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্ক, দাসপুর: দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে পানীয় জলের সমস্যা চলছে। পানীয় জল সংগ্রহ করতে দূর দূর যেতে হচ্ছে গ্রামের মেয়ে-বউদের। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। আর তাই এবার অভিনব পন্থা নিলেন গ্রামের বাসিন্দারা।

যা জানা যাচ্ছে, ৮ থেকে ১০ টি পরিবারকে অন্য গ্রামে গিয়ে অনেক দূর থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করতে হয়। বার বার জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। কোনও সমাধান না হওয়ায় এদিন বালতি কলসি নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। ঘটনায় ভিতরেই আটকে পড়েন গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের কর্মী থেকে প্রধান, উপপ্রধান সকলে।

এই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর-১ ব্লকের সরবেড়িয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের। জানা যায়,এই গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধানগর গ্রামের ৮-১০ টি পরিবার দীর্ঘ দিন ধরেই পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন। অভিযোগ, বাম আমল থেকেই গ্রামের এই পরিবারগুলি পানীয় জল থেকে বঞ্চিত। অন্য পাড়া থেকে তাদের পানীয় জল বয়ে আনতে হয়। বর্তমান তৃণমূল জমানায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতকে বারে বারে বলেও কোনো সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। গ্রামে সজলধারা প্রকল্প থাকলেও সেখান থেকে জল পৌঁছায় না এই পরিবার গুলির কাছে। এমনকি পানীয় জলের ট্যাপ বিকল হয়েও পড়ে রয়েছে।

impact

এই ভোগান্তির হাত থেকে রেহাই পেতে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা একজোট হয়ে দুপুরের দিকে সরবেড়িয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে পৌঁছায়। রীতিমতো সাথে করে নিয়ে যাওয়া তালাচাবি দিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের মূলগেট তালাবদ্ধ করে বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তারা। তাদের দাবি, যতক্ষণ না গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে তাদের পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে তারা তালা খুলতে দেবেন না। আর এর জেরে ভিতরে আটকে পড়েন গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী থেকে অন্যান্যরা প্রত্যেকেই।

যদিও এবিষয়ে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নবকান্ত শাসমল জানিয়েছেন, “আমরা সবে নবনির্বাচিত উপপ্রধান হয়েছি, সমস্যার বিষয়টি শুনলাম। সামান্য দিনের মধ্যে যাতে ব্যবস্থা করে দেওয়া যায় তার আপ্রাণ চেষ্টা করব”। অবস্থা তাঁর এই কথায় ভোলেননি গ্রামের বাসিন্দারা। তারপরও বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।