নিজস্ব সংবাদদাতা: বেশ কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টির জেরে জল বেড়ে উঠেছে উত্তরবঙ্গের সমস্ত নদীর। প্লাবন পরিস্থিতি ও ভাঙনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বহু এলাকায়। এই কারণে সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন চাষীরা। আর এর ফলেই বাজারে কমে গিয়েছে সবজির যোগান। অতীতের তুলনায় বর্তমানে সবজির দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। কোনও ক্ষেত্রে তা আবার তিনগুণ। ফলে বৃষ্টির পরেও নিস্তার পাচ্ছে না আমজনতা।
ক্রেতারা বাজারে এসে সবজি কিনতে ব্যাপক নাজেহাল হচ্ছেন। বৃষ্টি পরিস্থিতি না কমলে সবজির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছেন সবজি বিক্রেতারা। দাম যদি আরও বেড়ে ওঠে তবে ক্রেতাদের পকেটের অবস্থা আরও খারাপ হতে চলেছে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাজারে এক সবজি বিক্রেতার কথায়, ‘বৃষ্টির ফলে বাজারে জোগান কমেছে সবজির। তাই জোগান কম থাকায় দাম বাড়ছে প্রায় প্রতিটি সবজিরই। আর বাজারের সবজির দামের এই বৃদ্ধির ফলে বিক্রিও কমেছে’।
বর্তমানে পটলের দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকা, ঢেঁড়সের দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা, করলার দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৬০ টাকা, ঝিঙের দাম কেজি প্রতি ৬০ টাকা, বরবটির দাম কেজি প্রতি ৬০ টাকা এবং লঙ্কার দাম কেজি প্রতি ২৫০ টাকা।
আরও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে, যে সব সবজি তা হল –
বেগুন – ১০০ টাকা কেজি
টমেটো – ৯০-১০০ টাকা কেজি
শশা – ৮০-১০০ টাকা কেজি
দাম বাড়তে শুরু করেছে আলু, পেঁয়াজেরও। ফলে মধ্যবিত্তের বলিরেখা ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষের একটাই প্রশ্ন, প্রবল গরমের জন্যে এতোদিন সবজির দাম বাড়ছিল। এবার বর্ষার জন্যে সবজির দাম বাড়ছে। বারবার একই জিনিস ঘটলে মানুষ খাবে কি? এই ভাবে কি করে চলতে পারে?