নিজস্ব সংবাদদাতা: গত ১ সপ্তাহ ধরে টাস্ক ফোর্স অভিযান চালিয়েছে একাধিক বাজারে। জিনিসপত্রের দাম খতিয়ে দেখেছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে। দাম নিয়ে তর্ক-বিতর্কও হয়েছে প্রচুর। কিন্তু শেষমেশ কি এই সবের পরে সবজিপাতির দাম কমল?
যারা বাজার যাচ্ছেন তারাই আসল উত্তরটা জানেন। সবজির দাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী। আর তার মধ্যে বিষফোঁড়ার কাজ করছে আলু-পেঁয়াজের দামের বৃদ্ধি। সবজির পাশাপাশি এবার আলু, পেঁয়াজের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। আলু আগে ছিল ২০ টাকা কেজি। এখন তা ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে। পেঁয়াজ যা আগে ২০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছিল, এখন তারই দাম বেড়ে হয়েছে ৩৫-৪০ টাকা কেজি। রসুনের দামও বেড়েছে। একই সাথে আদা তো ঊর্ধ্বমুখী হয়েই ছিল, ফলে যে চার সবজি মূলত সব বাড়িতেই ঢোকে, সেই সকল সবজির দামই এখন ঊর্ধ্বমুখী।
এবার আসা যাক, অন্যান্য সবজির দামে। টমেটো এখনও ১৫০ টাকা কেজি। ঝিঙে, পটল, ভেন্ডি ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে। লঙ্কার দাম কিছুটা কমেছে এই দুর্মূল্যের বাজারে। বর্তমানে ১০০ গ্রাম লঙ্কার দাম ১৫-২০ টাকা।
এছাড়া বেশ কিছু সবজি যেমন- কুমড়ো, পেঁপে, লাউ এই সবই ৩০-৪০ টাকা কেজি দরেই মিলছে বাজার থেকে। অতএব সস্তার বাজার যদি কেউ চান, সেক্ষেত্রে এই তিন সবজির ওপরই ভরসা করতে হবে।
এ তো গেল সবজির কথা। এবার আসা যাক মাছের কথায়। কেননা মাছের বাজারেও মূল্যবৃদ্ধির রেশ অব্যাহত। গোটা রুই বিক্রি হচ্ছে ২০০-৩০০ টাকা কেজি দরে। আর গোটা কাতলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি দরে। ইলিশের মরশুমে দাম খানিকটা কম হলেও, তা বেশ ভাবাচ্ছে ক্রেতাদের।
অন্যদিকে, মুরগির দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় বাজারে চিকেন বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি দরে। যা কিছুদিন আগে পর্যন্ত ছিল ২০০ টাকা কেজি দরে। দাম বেড়েছে ডিমেরও।
ফলে বাজারে যেতে হবে এই ভেবেই এখন কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যাচ্ছে মধ্যবিত্তের। কীভাবে খরচা সামলাবেন তাই ভাবাচ্ছে গৃহকর্তাদের।