নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মথুরাপুর এক নম্বর ব্লকের দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করতে সিপিএমের ৩ প্রার্থীকে দলে নিল তৃণমূল। তাঁদের মধ্যে একজন মনিরা মীর নালুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী প্রার্থী। বাকি দু’জন হাবিব পিঁয়াদা ও আম্মান নাইয়া শঙ্করপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী প্রার্থী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মথুরাপুর ব্লক তৃণমূলের কার্যালয়ে সিপিএমের তিন জয়ী প্রার্থীর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক অলোক জলদাতা, সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি বাপি হালদার ও মথুরাপুর এক নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মানবেন্দ্র হালদার।
প্রসঙ্গত, নালুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ১৯। ১৯ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ৯টি আসন, বিজেপি ৬টি ও সিপিএম ৪টি আসন পায়। ফলে এই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করতে ম্যাজিক ফিগারের প্রয়োজন হয়ে পড়ে তৃণমূলের। অভিযোগ, পরিকল্পনা করেই সিপিএমের জয়ী প্রার্থীকে ভয় দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়। অন্যদিকে শঙ্করপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ১৯। সিপিএম পেয়েছিল ১০ টি আসন, বিজেপি ১ আসন, তৃণমূল পায় মাত্র ৮টি আসন। ফলে এই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করতে গেলে দু’জন প্রার্থীর প্রয়োজন ছিল। অভিযোগ, নালুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মত এখানেও সিপিএমের দু'জন জয়ী প্রার্থীকে ভয় দেখিয়ে অপহরণ করা হয়েছিল।
তবে সিপিএমের তিন জয়ী প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর জানান, উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলের যোগ দিয়েছেন। কেউ তাদেরকে ভয় দেখায়নি। বুধবার অর্থাৎ আজ দুই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। এখন দেখার সিপিএম দলের প্রার্থীদের ফেরাতে কী ব্যবস্থা নেয়।