নিজস্ব সংবাদদাতা: বিগত দিনে তৃণমূলের জন্য বিশাল অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছিল এই জায়গা। ঘটে যাওয়া ঘটনার ক্ষত এখনও দগদগে হয়ে রয়েছে সকলের কাছে। আইনি জটিলতাও রয়েছে। সর্বপরি যেটা রয়েছে তা হল – ঘটনার পরবর্তী সময়ে তাকে ঘিরে রাজনীতি।
কথা বলছি, বগটুই কাণ্ডের। প্রথমে, গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখকে গুলি করে হত্যা আর তারপর রাতের অন্ধকারে ওই গ্রামেরই কয়েকটি বাড়িতে অগ্নি সংযোগ। আর তাতে জীবন্ত দ্বগ্ধ হয়ে মৃত্যু শিশু সহ ৯ জনের। এই ঘটনা কার্যত জাতীয় স্তরেই আলোড়ন ফেলেছিল। নড়ে বসেছিল প্রশাসনও। মুখ্যমন্ত্রী নিজে গিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে, দিয়েছিলেন চাকরির আশ্বাস।
তবে এই সবে চুপ ছিল না বিজেপি শিবিরও। তারাও বিভিন্ন ভাবে এই ঘটনার সাথে জড়ান। এই রকম ভাবেই কিছুদিন আগে জানা যায়, ওই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী মিহিলাল শেখের পরিবারের কয়েকজন বিজেপির টিকিটে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হন। ভোট যুদ্ধে নামেন বিজেপির হয়েই।
মিহিলালের দিদি মেরিনা বিবি বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের বগটুই গ্রামের আসনে বিজেপির প্রার্থী হয়ে হেরেছেন। এদিকে মিহিলালের পুত্রবধূ সীমা খাতুন এবার বিজেপির টিকিটে রামপুরহাট-১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির আসনে দাঁড়িয়ে হেরেছেন। এদিকে বগটুই গ্রামের চারটি বুথের দুটি’তে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই জিতেছিল তৃণমূল। আর বাকি দুটোতে এবার জিতে গেল। অর্থাৎ বগটুইয়ে আর কোনও বিরোধী দলই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারল না। মানুষের ভরসা থাকল দিদির ওপরই।