নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিগত কয়েকদিন ধরে পাহাড় ও সমতলে লাগাতার বৃষ্টির জেরে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে সমস্ত নদীগুলোতেই। ফলে ভাঙনও শুরু হয়েছে। শিলিগুড়ির অদূরে চমক ডাঙ্গী গ্রাম সংলগ্ন এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে তিস্তা নদী। গ্রামে ঢোকার মূল রাস্তা গত কয়েকদিন আগেই তিস্তা নদীর গ্রাসে চলে গিয়েছে। ধীরে ধীরে সেই ভাঙন এখন গ্রাস করতে চলেছে গোটা গ্রামটিকে ৷ গ্রামবাসীদের অভিযোগ,সেচ দফতরকে ভাঙন শুরু হওয়ার আগেই বিষয়টি জানিয়ে এসেছেন তারা। সেচ দফতরের থেকে পরিদর্শনও করে গিয়েছিলেন আধিকারিকরা। কিন্তু সময় মত কাজ শুরু না করায় ভাঙনের মুখে পড়তে হল বাসিন্দাদের। ফলে ঘড় ছাড়া হতে হয় তাদের।
জানা যাচ্ছে, পুজোর মুখে বড় বিপর্যয় উত্তরবঙ্গে। ঘর ছাড়া প্রায় আশিটি পরিবার। এবার সেই চমকডাঙি এলাকা পরিদর্শন করলেন মেয়র গৌতম দেব।
এই ঘটনার বিষয়ে মেয়র গৌতম দেব বলেন, “সেচ দফতর পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না। মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিচ্ছি। এলাকা ঘুরে দেখেছি। ভয়াবহ পরিস্থিতি।” তিনি আরও বলেন, “সেচ দফতর আপ্রাণ চেষ্টা করছে। কিন্তু আটকাতে পারছে না। পুরো জায়গা নদীর করাল গ্রাসে চলে গিয়েছে। একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক ছিলেন আমাদের সঙ্গে। পুজোর মধ্যে মানুষ খুব বিপদে রয়েছে। ত্রাণ দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে। তার মধ্যে আবার হাতি উৎপাত করেছে। চিতা বাঘও রয়েছে। দু’য়ে মিলে জায়গাটা খুবই বিপদ সঙ্কুল।”